Advertisement
E-Paper

বইমেলায় হেঁটে স্টল খুঁজতে সঙ্গী হবে অ্যাপ

সোমবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় একটি অ্যাপের খবর শুনিয়েছেন।

অ্যাপে বাড়িতে বসেই নিকটবর্তী গেটের নির্দেশ থেকে নির্দিষ্ট স্টলে পৌঁছনোর ধারাবিবরণী শোনা যাবে।

অ্যাপে বাড়িতে বসেই নিকটবর্তী গেটের নির্দেশ থেকে নির্দিষ্ট স্টলে পৌঁছনোর ধারাবিবরণী শোনা যাবে। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৮
Share
Save

বইমেলার মাঠে পছন্দের স্টলটির খোঁজে গোলকধাঁধায় পাক খাওয়ার সমস্যা থেকে কি এ বার রেহাই মিলবে? ৪৮তম কলকাতা বইমেলা শুরুর প্রাক্কালে উদ্যোক্তাদের তরফে একটি ঘোষণায় তেমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সোমবার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের দুই কর্তা, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে এবং সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় একটি অ্যাপের খবর শুনিয়েছেন। আইকেবিএফ নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করলে তাতে বইমেলার ভিতরের যে কোনও স্টলে যাওয়ার টানা দিক নির্দেশ থাকবে বলে জানান তাঁরা। এমনিতে বইমেলার ম্যাপ ধরে স্টল নম্বর লক্ষ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোই দস্তুর। তবে নতুন অ্যাপটির নির্মাতারা জানান, এই অ্যাপে বাড়িতে বসেই নিকটবর্তী গেটের নির্দেশ থেকে নির্দিষ্ট স্টলে পৌঁছনোর ধারাবিবরণী শোনা যাবে।

তবে বইমেলা শুরুর আগে কিছু অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বইপ্রেমীরা। কারণ, মেলা চত্বরে নেট সংযোগ পাওয়া নিয়ে প্রতি বছরই ধস্তাধস্তি চলে। যা-ই হোক, অ্যাপ হাতে থাকলে বইমেলায় যে কোনও দোকানে পৌঁছনোই সোজা হতে পারে। ছোট, বড় স্টল বা লিট্‌ল ম্যাগাজ়িন মিলিয়ে বইমেলায় এ বার অতীতের সব নজির ছাপিয়ে এক হাজারেরও বেশি স্টল থাকার কথা। আজ, মঙ্গলবার বিকেলে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান, গ্যেটে ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর মারিয়া স্টাকেনবার্গ প্রমুখ। সাহিত্যিক আবুল বাশার এ বার গিল্ডের জীবনকৃতী সম্মান পাচ্ছেন। সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক ছাড়া গ্যেটে, ম্যাক্স মুলার, ব্রান্ডেনবুর্গ প্রমুখের নামে গেট থাকবে বইমেলায়। থিম দেশ জার্মানি, তাই রিলকে, ব্রেখট, কাফকা, হের্তা মুলার, টমাস মান প্রমুখের নামে বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ হচ্ছে।

বইমেলার ইতিহাসে এ বারই প্রথম মজাদার এক বাঙালি পোশাকের হাঁস দম্পতির আদলে ম্যাসকট তৈরি হয়েছে। এ বার ইংরেজি ভাষার বইও মুক্ত আকাশের নীচে চলে আসছে। হলের বিভাজন থেকে মেলাকে মুক্ত করে চলাফেরার পর্যাপ্ত পরিসর মিলছে। ১৯৯৬ সালের পরে এ বার থাকছে না বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

APP book fair

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}