Advertisement
E-Paper

উদ্যানে তৈরি হচ্ছে নতুন জলাধার

কালীঘাট, কসবা, গড়ফা কিংবা সিরিটির পরে এ বার মধ্য কলকাতার কনভেন্ট রোডে এবং উত্তর কলকাতায় ডালপট্টিতে উদ্যানের একাংশে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা না থাকায় পানীয় জলের অভাব মেটাতে কিছু কিছু উদ্যানের একাংশে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করেছে পুরসভা।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪২
শুরু হয়েছে জলাধার তৈরির কাজ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

শুরু হয়েছে জলাধার তৈরির কাজ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

কালীঘাট, কসবা, গড়ফা কিংবা সিরিটির পরে এ বার মধ্য কলকাতার কনভেন্ট রোডে এবং উত্তর কলকাতায় ডালপট্টিতে উদ্যানের একাংশে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা না থাকায় পানীয় জলের অভাব মেটাতে কিছু কিছু উদ্যানের একাংশে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করেছে পুরসভা।

শহরে সবুজায়ন বাড়াতে কলকাতা পুরসভা অনেক জায়গাতেই গাছ লাগিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে উদ্যানের সংখ্যাও। কিন্তু জায়গার অভাবে উদ্যানগুলির একাংশেই তৈরি হচ্ছে জলাধার। তবে সবুজায়নের ক্ষতি যাতে না হয়, তাই মাটির নীচে জলাধার তৈরি করে তার উপরে আবার উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ।

এই দু’টি জায়গায় ইতিমধ্যেই কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, শহরকে সুন্দর রাখার জন্য সবুজায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পুর-কর্তৃপক্ষ সেই কাজই করছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে উদ্যানের মধ্যে, ফাঁকা জমিতে বা মাঠে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হয়েছে। কাজেই সবুজায়ন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘাটতি পূরণ করতে পাম্পিং স্টেশনের উপর বাগান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতর একটি সমীক্ষা চালিয়ে জেনেছেন, বুস্টার পাম্পিং স্টেশন যে জলাধার তৈরি করা হয়েছে তার উপর প্রায় দশ হাজারেরও বেশি বর্গফুট জায়গা খালি পড়ে রয়েছে। জলাধারের উপর এই ছাদ খালি পড়ে থাকায় এমনিতেই ময়লা হয়। এই ফাঁকা জায়গাতেই বাগান তৈরি হলে সবুজায়নও হবে এবং ছাদ ময়লা হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না বলেও পুরকর্তৃপক্ষ জানান।

কসবায় বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের উপরে মরশুমি ফুলের গাছ ছাড়াও বেড়ানোর জন্য রাস্তা এবং বসার বন্দোবস্ত রয়েছে। আবর্জনা ফেলার জন্য বসানো হয়েছে সুদৃশ্য ডাস্টবিন। রয়েছে বাহরি বাতিস্তম্ভও। এই মডেলেই অন্য তিনটি উদ্যান সাজানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে শহরে উদ্যানের সংখ্যা ৭০০টি। এর মধ্যে বেশ কিছু উদ্যানকে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করার জন্য চিহ্নিতও হয়েছে।

পুরকর্তৃপক্ষ জানান, শহরে সবুজায়ন প্রকল্প রূপায়ণ করতেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত। মধ্য কলকাতার মহমম্দ আলি পার্কে জলাধারের উপরে ইংরেজ আমল থেকেই বাগান রয়েছে। সেখানে পুজোও হয়। অবশ্য নতুন এই জায়গায় কোনওরকম পুজো হবে না। পরবর্তী কালে, অন্যান্য বুস্টার পাম্পিং স্টেশনকেও এ ভাবে সাজানো হয়েছে।

এখানেই প্রশ্ন ওঠে, এই ধরনের বাগান তৈরি হলে জলাধারের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কি? উদ্যান দফতরের দাবি, বড় গাছ লাগালে অনেক সময় তা ঝড়ে ভেঙে পড়তে পারে। ফলে, আম, জাম, বট বা অশ্বত্থর মতো গাছ এখানে কখনোই লাগানো যাবে না। এ ছাড়াও এই সব
গাছ জলাধারের পরিকাঠামোর ক্ষতিও করতে পারে। তাই এখানে মরশুমি এবং বাহারি ফুল ছাড়াও কিছু গুল্ম লতা লাগানো থাকবে।

শহরের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন চত্বরে এই ধরনের জলাধারে বাগান করলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কি? পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যেখানে পাম্প রয়েছে ঠিক তার উপর কোনও বাগান তৈরি করা হচ্ছে না। কারণ, সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পাম্পের পাশেই সংলগ্ন জলাধারের উপরেই সাজানো বাগানে মানুষ যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকবে। এখানে সব সময়ের জন্য নিরাপত্তারক্ষী থাকবে।

Koushik Ghosh KMC Booster pumping station water Kalighat kasba
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy