Advertisement
E-Paper

পুর-উদ্যোগে নয়া পার্ক

পুকুর বোজানো নয়, সংস্কার করে তার পাড় সাজিয়ে পার্ক তৈরির কাজে এগিয়ে এল মহেশতলা পুরসভা। কাজ শেষ হলে এটি হবে মহেশতলা পুর এলাকার দ্বিতীয় পার্ক। সন্তোষপুর স্টেশন রোড সংলগ্ন সন্তোষপুর গভর্নমেন্ট কলোনির একটি পুকুর বড় পুকুর নামে পরিচিত।

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৩৩
সেজে উঠছে উদ্যান।— নিজস্ব চিত্র।

সেজে উঠছে উদ্যান।— নিজস্ব চিত্র।

পুকুর বোজানো নয়, সংস্কার করে তার পাড় সাজিয়ে পার্ক তৈরির কাজে এগিয়ে এল মহেশতলা পুরসভা। কাজ শেষ হলে এটি হবে মহেশতলা পুর এলাকার দ্বিতীয় পার্ক। সন্তোষপুর স্টেশন রোড সংলগ্ন সন্তোষপুর গভর্নমেন্ট কলোনির একটি পুকুর বড় পুকুর নামে পরিচিত। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন পুকুরটি কচুরিপানায় ভরে ছিল। অবহেলায় পুকুরটি নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল। এই পুকুরে নিয়মিত আবর্জনাও ফেলা হত বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

মহেশতলা পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গার ধারে উলুডাঙ্গায় একটি পার্ক রয়েছে। বর্তমানে এই দ্বিতীয় পার্কটি নিয়ে উৎসাহিত এলাকাবাসীও। যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে এই পুর-এলাকায় এই পার্কটি খুব জরুরি ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রৌঢ় এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, পুকুরটি খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। আগেও এখানে মাছ চাষ হত। তবে সেভাবে পুকুরের সংস্কার হত না। ফলে পুকুরটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্ষতি হয়েছিল মাছ চাষেরও। বছর খানেক ধরে ধাপে ধাপে পুকুর সংস্কার ও পাড় সাজানোর কাজ চলছে। তবে আরও একটু দ্রুত কাজ হলে ছোটরা খেলতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধু নতুন পার্ক তৈরি করলেই হবে না। পুরসভাকে দায়িত্ব সহকারে পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, পার্কের রক্ষণাবেক্ষণে কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে। কোনও বেসরকারি সংস্থার হাতে এই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

মহেশতলা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই পার্ক। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুর-চেয়ারম্যান দুলাল দাস বললেন, ‘‘ইতিমধ্যেই প্রায় এক কোটি টাকার কাজ হয়েছে। বছর খানেক ধরে ধীরে ধীরে চলছে কাজ। যে ভাবে টাকা এসেছে সে ভাবেই কাজ হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল ফান্ড থেকে খরচ হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা এসেছে সাংসদ, বিধায়ক তহবিল থেকে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এ বছরেই শেষ হয়ে যাবে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, পুকুরের পূর্ব দিকের কিছুটা অংশ আগেই বাঁধানো হয়েছিল। অন্য দিকগুলি বল্লা দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। প্রায় ২৫ বিঘা জমির উপরে পুকুর ও তার সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে এই পার্ক। পুকুর সংস্কার করে মাছ
চাষ শুরু হয়েছে নতুন করে। পাড় সংলগ্ন আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কারকরে বসার জায়গা তৈরি হয়েছে। ছোটদের আকর্ষণের জন্য পার্কের একাংশে কৃত্রিম গাছের ডালে পাখি, হাতি, হরিণ, বাইসন, গন্ডারের প্রতিকৃতি আর খেলনা বসানো হয়েছে। পুকুর ঘিরে সিমেন্ট বাঁধানো বসার জায়গা হয়েছে। চার পাশ গাছ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। মরসুমি ফুলের গাছ বসানোর কাজ শুরু হবে কিছু দিনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই পার্কের উপযুক্ত আলো বসে গিয়েছে। তিনটি মূল প্রবেশ পথ নিয়ে সেজে উঠছে পার্ক। বাসিন্দা সমরেশ মিত্র বলেন, ‘‘মোল্লারগেট সংলগ্ন এই কলোনি এলাকায় বসতি অনেক। কিন্তু ছোটদের খেলা এবং ঘুরে বেড়ানোর জায়গার খুবই অভাব এখানে। পার্কটি হলে সেই চাহিদা কিছুটা মিটবে।’’

Maheshtala park water body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy