E-Paper

গবেষণায় বরাদ্দ নিয়ে সংশয় শিক্ষা শিবিরে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা ‘সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটি’-র সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, ‘‘বাজেটে ‘জয় অনুসন্ধান’ যোগ করা বিভ্রান্তিকর।

মধুমিতা দত্ত

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৪
অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ‘উদ্ভাবনকে উন্নয়নের ভিত্তি’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘‘৫০ বছরের সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার জন্য মাধ্যমে এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল গঠিত হবে।’’ তবে শিক্ষা খাতে এ দিন যে বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে তা গত বছরের থেকে সামান্য বেশি। চলতি অর্থবর্ষে শিক্ষা খাতে বরাদ্দও পুরো ব্যয় করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নতুন আশ্বাস নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

নির্মলা জানান, কেন্দ্রের উদ্যোগ বেসরকারি ক্ষেত্রকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মেশিন লার্নিং মতো প্রযুক্তিকে শক্তিশালী
করতে আলাদা প্রকল্প ঘোষণার কথাও তিনি বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারিত ‘জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান’ স্লোগানের উল্লেখও করেন অর্থমন্ত্রী। এ দিন তিনি জানান, শিক্ষা খাতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা খরচ করা হবে। গত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। তবে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা ‘সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটি’-র সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, ‘‘বাজেটে ‘জয় অনুসন্ধান’ যোগ করা বিভ্রান্তিকর। গবেষণার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সুদমুক্ত ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদানের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।’’ তিনি জানান, গত বছর ‘ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ (এনআরএফ) গঠন করে পাঁচ বছরে গবেষণার জন্য সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রত্যাশা ছিল, সেই অনুদানের ব্যবস্থা বাজেটে থাকবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ইউজিসি-র বড় গবেষণা প্রকল্প, স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম, নন-নেট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম বন্ধ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি রাজনৈতিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কোন বিষয়ে গবেষণা করতে হবে, তাও প্রায় ঠিক করে দিচ্ছে।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক পার্থিব বসুর মন্তব্য, ‘‘গত ১০ বছরে গবেষণা খাতে যা বরাদ্দ (জিইআরডি) কমেছে, তা অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনাতেও কম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Interim Budget 2024 Nirmala Sitharaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy