Advertisement
E-Paper

ভরা গ্রীষ্মেও নন-এসি রেক থেকে মুক্তি নেই 

পাক্কা ছ’-ছ’টি বাতানুকূল রেক এসে পড়ে আছে। তবু একটিও নিশ্চিন্তে চালানো যাচ্ছে না। 

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৮
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পাক্কা ছ’-ছ’টি বাতানুকূল রেক এসে পড়ে আছে। তবু একটিও নিশ্চিন্তে চালানো যাচ্ছে না।
ফলে, গরমের কলকাতায় নন-এসি রেকের অস্বস্তি থেকে মেট্রো যাত্রীদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মেট্রো সূত্রের খবর। এপ্রিলের গোড়ায় নতুন দু’টি এসি রেক চালু হওয়ার পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জুনের মাঝামাঝি দৈনন্দিন মেট্রো পরিষেবায় নন-এসি রেকের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু নতুন দু’টি এসি রেক চালু হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তা নিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়ে সেগুলি তুলে নিতে বাধ্য হন। ফলে নতুন করে ভিড়ের চাপ সামলাতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ফের সেই নন-এসি রেকের উপরেই আস্থা রাখতে হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
কলকাতা মেট্রোয় বর্তমানে ১৩টি এসি এবং ১৪টি নন-এসি রেক চালু রয়েছে। মেট্রো সূত্রে খবর, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত নানা কারণে ১৩টি বাতানুকূল রেকের সব ক’টি কখনওই এক লপ্তে যাত্রী পরিববহণের কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায় না। বড়জোর ১০টি বাতানুকূল রেক পাওয়া যায়। ফলে সারা দিনে ২৮৪ বার ট্রেন চালানোর জন্য নির্ভর করতেই হয় নন এসি রেকের উপরে।
মেট্রো সূত্রের খবর, ১৪টি নন-এসি রেকের মধ্যে ৭টি বেশ পুরনো। ১৯৮৪ সালে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা চালু হওয়ার সময়ে রাঁচীর ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল্‌সের (ভেল) কারখানা থেকে ৯টি নন-এসি রেক এসেছিল। তার পরে ১৯৯৫-এ কর্নাটকের একটি কারখানা থেকে আরও ৯টি নন-এসি রেক আসে। মোট ১৮টি নন-এসি রেকের মধ্যে ধাপে ধাপে চারটি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৪টি নন-এসি রেকের মেয়াদও ফুরিয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে কলকাতা মেট্রোয় ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে নন-এসি রেক আনা শুরু হয়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ধাপে ধাপে ১৩টি এসি রেক আসে। কিন্তু ওই রেকগুলিতে প্রথম থেকেই নানা সমস্যা দেখা দেওয়ায় নন-এসি রেকের উপরে নির্ভরতা কমানো যায়নি। বাধ্য হয়ে ২০১৫-’১৬ সাল নাগাদ ১৪টি নন-এসি রেকের মধ্যে থেকে ১৯৯৫ সালে আসা ৭টি নন-এসি রেকের খোলনলচে বদলে মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেইমতো একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে রেক প্রতি গড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামতি হয়। ভিতরের সাজসজ্জায় অনেকটা এসি রেকের মতো দেখতে ওই নন-এসি রেকগুলিই এখন যাত্রী পরিবহণ করছে। এ ছাড়াও, এখনও পরিবহণের কাজে ব্যবহার হয় ভেল-এর তৈরি পাঁচটি রেক। বয়সের ভারে সেগুলি প্রায় জীর্ণ।
মেট্রোকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, চেন্নাইয়ের কারখানা থেকে আসা এসি রেকগুলি ব্যবহার করতে না পারাতেই ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। এ প্রসঙ্গে এক মেট্রোকর্তা বলেন, ‘‘দু’টি রেক চালু করেও তাদের কার্যত তুলে নিতে হয়েছে। বাকি তিনটি আইসিএফের রেক আদৌ কবে চালানো যাবে, বলা মুশকিল।’’ ওই কর্তা আরও জানান, চিন থেকে ডালিয়ানের প্রথম রেকটি চলা শুরু করলে তবে দ্বিতীয় রেক আনা হবে। ফলে সেই প্রক্রিয়াতেও কয়েক মাস লাগতে পারে। ডালিয়ানের ১৪টি রেক তৈরি হয়ে গেলেও, সবগুলি এ বছরে আনা নিয়ে সংশয় রয়েছে মেট্রোকর্তাদের। ফলে শুধু গরমের কয়েক মাস নয়, নন-এসি রেকে যাত্রার অস্বস্তি কাটতে বছর গড়াতে পারে।

Railway Metro Passenger Facility
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy