এ বার দুর্গাপুজোর থিমেও লাগল দিঘার জগন্নাথধামের ছোঁয়া। উত্তর কলকাতার একটি ক্লাবের এ বছরের দুর্গাপুজোর থিম দিঘার জগন্নাথ মন্দির। বাগমারির কবিরাজ বাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসবের এ বার হীরকজয়ন্তী বর্ষ। ফলে তাদের এ বছরের পুজো অন্য বারগুলির তুলনায় আরও জাঁকজমকপূর্ণ হতে চলেছে।
হীরকজয়ন্তী বর্ষের দুর্গাপুজোর আয়োজনে অভিনবত্ব রাখতে চেয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল মণ্ডপ হবে স্টার থিয়েটারের আদলে। এর মধ্যেই অক্ষয়তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথধামের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। সেই উপলক্ষে দিঘায় গিয়েছিলেন পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তথা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী। দিঘা থেকে ফিরে পুজো কমিটির বৈঠকে তিনিই জগন্নাথধাম থিম করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়েছে। ইতিমধ্যে পুজোর যাবতীয় উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছেন কবিরাজ বাগানের পুজোর কর্তারা। ঠাকুরের বায়না থেকে শুরু করে মণ্ডপ তৈরির জন্য অগ্রিম দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত বছর দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও হাওড়া ব্রিজ তৈরি করে চমক দিয়েছিল কবিরাজ বাগান। ২০২৩ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে মারা যান গায়ক কেকে। সে বছর তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নজরুল মঞ্চের আদলে তৈরি হয়েছিল কবিরাজ বাগানের মণ্ডপ। এ বারও সেই ধারা বজায় থাকবে, বলছেন আয়োজকরা। মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন উপলক্ষে দিঘা সেজে উঠেছিল ঝলমলে আলোর মেলায়। নেপথ্যে ছিলেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। কবিরাজ বাগানের পুজোর উদ্যোক্তারা চন্দননগরের আলোকশিল্পীদেরই দায়িত্ব দেবেন বলে ঠিক করেছেন।
আরও পড়ুন:
পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর অমল বলেন, ‘‘রাজস্থানের কারিগরেরা যে ভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন, তা দেখে আমি অভিভূত। সেই ভাবনা থেকেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে আমরা কলকাতার আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। কারণ, মন্দির দেখতে আগ্রহী বহু মানুষ দিঘায় গেলেও, একটি বড় অংশের মানুষ যেতে পারেননি। তাঁরা যাতে কলকাতাতেই দিঘার জগন্নাথধামের দর্শন পান, তাই আমরা হীরকজয়ন্তী বর্ষে ওই মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করব।’’ এ বছরের শারদোৎসব শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। জুন মাস থেকেই মণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে শুরু করে দিতে চান ওই পুজোর উদ্যোক্তারা।