—ফাইল চিত্র।
কলকাতার সমস্ত শ্মশানে শেষকৃত্যের কাজে নিযুক্ত পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুর প্রশাসন। ওই পুরোহিতেরা আবার অগ্রদানী ব্রাহ্মণও। সোমবার পুর ভবনে এ কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতায় মোট সাতটি শ্মশান রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে অনেক মৃতদেহ দাহ করা হয়। শ্মশানের পারলৌকিক কাজ সকলে করেন না। অগ্রদানী ব্রাহ্মণেরা কেউ কেউ ওই কাজ করে থাকেন। তাই শহরের প্রতিটি শ্মশানেই থাকেন ওই ব্রাহ্মণেরা।
পুর প্রশাসনের তরফে তাঁদের এত দিন কোনও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হত না। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে যেটুকু টাকা দেওয়া হত, সেটাই ছিল তাঁদের আয়। কলকাতার সাতটি শ্মশানে বর্তমানে এই শ্রেণির ৪৯ জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। কলকাতা পুরসভার রেজিস্টারে তাঁদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। শ্মশানে দেহ এলেই ক্রমান্বয়ে তাঁদের কাজ দেওয়া হয়। সম্প্রতি পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ফাইল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ভাতার তালিকায় তাঁদের সকলের নাম তোলা হয়েছে।
মেয়র জানান, এই পেশায় নিযুক্ত বেশির ভাগ ব্রাহ্মণই খুব দরিদ্র। অগ্রদানী হওয়ার কারণে পুজো-অর্চনা করারও অধিকারী নন তাঁরা। কেবল শবদাহের আগে ও পরে ব্রাহ্মণ হিসেবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কিছু কাজ করে থাকেন। আবার অগ্রদানী ব্রাহ্মণ হিসেবে শ্রাদ্ধের কাজেও যান এঁরা। রোজগার কম বলে অভাবেই দিন কাটে তাঁদের। সেই কারণে তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই পুর প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মেয়র বলেন, ‘‘এক-একটি শেষকৃত্যের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ওই ব্রাহ্মণদের ৩৮০ টাকা করে দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, আগামী জুন মাস থেকে এই প্রকল্প চালু হবে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, আগামী কাল, বুধবার, মেয়র পরিষদের বৈঠক হচ্ছে। সেখানেই এই প্রকল্পের অনুমোদন করানো হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার যে সাতটি শ্মশানের অগ্রদানী ব্রাহ্মণদের জন্য এই প্রকল্প চালু হচ্ছে, সেগুলি হল: কেওড়াতলা, নিমতলা, সিরিটি, গড়িয়া, কাশী মিত্র ঘাট, কাশীপুর এবং গার্ডেনরিচের বিরজুনালা মহাশ্মশান।
কলকাতার দেখাদেখি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাও কি এই ভাতা চালু করবে? এ প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘‘আপাতত কলকাতা দিয়ে শুরু হচ্ছে। অন্যান্য জায়গায় পরে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy