বিদেশ থেকে আসা মালপত্র কলকাতা বিমানবন্দর থেকে লুকিয়ে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষের যুগ্ম জেনারেল ম্যানেজার গিরিশ শর্মাকে। দিল্লি থেকে ডেকে পাঠিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই পদস্থ কর্তাকে গ্রেফতার করেছে শুল্ক দফতরের অধীনস্থ স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১২ তারিখ একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সম্পদ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে। তিনি জেল হেফাজতে। বিমানবন্দরের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নেরও নেতা ছিলেন সম্পদ। এই চক্রের সঙ্গে কিছু শুল্ক অফিসার এবং বিমানবন্দরের কর্মীর নাম জড়িত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
অভিযোগ, কয়েক জন ব্যক্তি মাসখানেক ধরে বিদেশ থেকে আসা সামগ্রী শুল্ক না দিয়েই লুকিয়ে অন্য গেট দিয়ে বার করে নিচ্ছিলেন। বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় সহজেই ওই গেট ব্যবহার করা যাচ্ছিল। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, এ ভাবে বাজেয়াপ্ত করা প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকার সামগ্রী সম্প্রতি সল্টলেকের সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক টেস্ট ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে বিদেশি সিগারেট, মোবাইলের যন্ত্রাংশ ছাড়াও এমন কিছু সামগ্রী মিলেছে যা বিস্ফোরণের ডিটোনেটর হিসেবেও কাজ করতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সামগ্রী এ ভাবে পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, যখন এই পাচার চলছিল, সে সময়ে কলকাতায় পণ্য বিভাগে যুগ্ম জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন গিরিশবাবু। জুন মাসে তিনি দিল্লিতে বদলি হয়ে যান। তদন্তের স্বার্থেই মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।