হাওড়া থেকে বাগবাজারের দিকে যাচ্ছিল যাত্রী ভর্তি লঞ্চটি। আহিরীটোলা ঘাটের কাছে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক প্রবীণ দম্পতি। শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বারাসতের রথতলার বাসিন্দা, তাপসকুমার দত্ত (৭২) নামে ওই বৃদ্ধের। তাঁর স্ত্রী হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন ওই দম্পতি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের বাঁচাতে জলে ঝাঁপান লঞ্চের এক কর্মী। তিনি তাপসবাবুকে উদ্ধার করেন। পিছনে আসা আর একটি লঞ্চের তিন কর্মী উদ্ধার করেন বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধাকে। এর পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাপসবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কেন ঝাঁপ দিলেন ওই দম্পতি? হাসপাতালে শুয়ে তাপসবাবুর স্ত্রী জানান, পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অনটনের জেরেই তাঁরা জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাপসবাবু সিইএসসি-র অবসরপ্রাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াতেন। তিনি পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে তাঁদের বনিবনা হত না। তাই ছেলে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন না। কয়েক মাস ধরে ছেলে তাঁদের টাকাও দিতেন না বলে অভিযোগ। এক রকম বাধ্য হয়ে অশান্তি ও আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেন স্বামী-স্ত্রী।