Advertisement
E-Paper

বিধাননগরে ফের মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্তের

পুরসভা সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুভাষ অধিকারী (৩৬)। শুক্রবার বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কেষ্টপুরের অশ্বিনীনগরের সন্তোষপল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। ডেঙ্গিতে ‘মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওর’ হয়েই মৃত্যু বলে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা রয়েছে। সুভাষবাবু ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ ভাণ্ডারীর মাসতুতো দাদা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৩৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

আবার মৃত্যু। বিধাননগর পুরসভার সেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। তিন দিনে তিন জন। সব মিলিয়ে ওই পুর এলাকায় এ পর্যন্ত জ্বরে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের চারটি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই অবশ্য কারণ হিসেবে মশাবাহিত রোগের কথা মানেননি পুর কর্তৃপক্ষ। এ বার তা হয়নি। কারণ, মৃত ব্যক্তি খোদ স্থানীয় কাউন্সিলরের আত্মীয়।

পুরসভা সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুভাষ অধিকারী (৩৬)। শুক্রবার বাইপাস সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কেষ্টপুরের অশ্বিনীনগরের সন্তোষপল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। ডেঙ্গিতে ‘মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিওর’ হয়েই মৃত্যু বলে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা রয়েছে। সুভাষবাবু ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ ভাণ্ডারীর মাসতুতো দাদা।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় পুর প্রশাসন থেকে পুর কর্তারা ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলেই তা ধামাচাপা দিতে চাইছেন। অথচ, যাঁরা জ্বরে আক্রান্ত, তাঁদের অনেকেরই রক্ত এনএস-১ পজিটিভ। স্থানীয়দের বক্তব্য, এনএস-১ পজিটিভ মানে মশাবাহিত রোগের উপসর্গ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রোগীকে আলাদা করে রাখা ও নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সেই তথ্য গোপন করে কী লাভ?

অভিযোগ খারিজ করে পুর প্রশাসনের দাবি, এনএস-১ পজিটিভ মানেই ডেঙ্গি নয়। তবু ডেঙ্গি বলে প্রচার চলছে। তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। তবে, এনএস-১ পজিটিভ হওয়ার খবর এলেই সেই এলাকায় মশা-নিধনে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সুভাষবাবুর পরিবার সূত্রের খবর, ১৪ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর শিবনাথবাবু বলেন, ‘‘ও আমার মাসতুতো দাদা। আমি কথা বলার অবস্থায় নেই।’’ বৃহস্পতিবারও ওই ওয়ার্ডে জ্বরে আরও এক জন মারা যান। তাতে কাউন্সিলর দাবি করেন, মৃতের লিভারের অসুখ ছিল। স্থানীয়দের একাংশ জানান, ওয়ার্ডে অনেকে জ্বরে আক্রান্ত। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘ডেঙ্গিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

বারবার একই এলাকায় এমনটা ঘটছে কেন? কেউ কেউ অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পুরসভার দিকে। তাঁদের অভিযোগ, ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার, মশা নিয়ন্ত্রণ— নিয়মিত হয় না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা। চার নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নিয়মিত কাজ হলেও সচেতনতার অভাবে মশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। একই দাবি স্থানীয় কাউন্সিলরেরও।

প্রণয়বাবু জানান, ওই ওয়ার্ডে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা যেমন রয়েছে, তেমনই জলা জায়গাও রয়েছে। আজ, শনিবার ফের পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে গিয়ে গোটা এলাকা পরিদর্শন করে যাবতীয় পদক্ষেপ করবেন।

এ দিন আবার সল্টলেকের ইই ব্লক পরিদর্শন করেন মেয়র পারিষদ ও আধিকারিকেরা। সেখানে বিভিন্ন বাড়িতে মশার লার্ভা মিলেছে। মেয়র পারিষদের দাবি, ইই ব্লক এবং ওই ওয়ার্ড মোটামুটি পরিষ্কার। কিন্তু সচেতনতার অভাব রয়েছে।

Bidhan Nagar Dengue fever Mosquitoes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy