Advertisement
E-Paper

Death: আবাসনের ফ্ল্যাটে জোড়া মৃতদেহ

দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তা ওই বহুতলের কেয়ারটেকারকে জানিয়ে রেখেছিলেন, এ দিন তাঁরা কাজে বেরোবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২১ ০৬:০৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সল্টলেকের নয়াপট্টিতে একটি আবাসনের এক ফ্ল্যাট থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার করল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। বুধবার বিকেলের ঘটনা। মৃতদের নাম দেবাশিস দাশগুপ্ত (৪০) এবং শ্রুতিদীপ্তা গুহ বিশ্বাস (৪০)। পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টিতে একটি আবাসনের তিনতলার ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তা। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা মালিককে জানিয়েছিলেন, পারিবারিক একটি কাজের জন্য ওখানে থাকবেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তা ওই বহুতলের কেয়ারটেকারকে জানিয়ে রেখেছিলেন, এ দিন তাঁরা কাজে বেরোবেন। সেই মতো তাঁদের যেন ডেকে দেওয়া হয়। কথা মতো বহুতলের কেয়ারটেকার কয়েক বার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দু’জনকে ডাকেন। কিন্তু সাড়াশব্দ পাননি। অথচ দেখা যায়, এসি চলছে। ঘর থেকে ভেসে আসছে টিভির আওয়াজ। ওই দু’জনের সাড়া না পেয়ে মেন সুইচ বন্ধ করে দেন কেয়ারটেকার। তার পরেও দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তার সাড়া না পাওয়ায় তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি ফ্ল্যাটের মালিককে খবর দেন। মালিক বিষয়টি থানায় জানাতে বলেন।

খবর পেয়ে পৌঁছয় ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকে দেবাশিসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শ্রুতিদীপ্তার দেহ পড়ে ছিল ঘরের মেঝেতে। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, তাতে দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তা জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে ঘটনার পিছনে আর কোনও রহস্য আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সুইসাইড নোটের লেখাটি কার, তা-ও পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, দেবাশিসের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। শ্রুতিদীপ্তা আদতে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁরা চেন্নাই থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছিলেন ফ্ল্যাটের মালিককে। গত ১৬ জুলাই থেকে তাঁরা সেখানে থাকতে শুরু করেন। তবে দেবাশিস ও শ্রুতিদীপ্তা কোথায় কাজ করতেন, তা এখনও জানা যায়নি। জানা যায়নি তাঁদের সম্পর্কও।

পুলিশ জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। পুলিশের এক কর্তা জানান, সব সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বহুতলের কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে ফ্ল্যাটটিও।

Deaths Housing Complex
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy