Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Car Parking

আদায় হচ্ছে না পার্কিং ফি, টান পুর কোষাগারে

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা পার্কিং দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “লকডাউনের ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে মে মাস পর্যন্ত শহরে গাড়ি চলাচল কম থাকায় পার্কিং কম হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০২:২৪
Share: Save:

কলকাতা পুর এলাকায় রাস্তার পার্কিং খাতে আয় এ বার তলানিতে ঠেকেছে। লকডাউনের সময়ে শহরে বেশি গাড়ি চলাচল না করার ফলে সাধারণ সময়ে পার্কিং থেকে যা আয় হয়, তা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে লকডাউনের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের শিথিলতা থাকলেও পার্কিং থেকে আয় তেমন হচ্ছে না। ফলে পুরসভার কোষাগারে ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। এ ছাড়াও পার্কিং ফি নেয় এ রকম অনেক সংস্থাই করোনা আতঙ্কে টাকা সংগ্রহের কাজ না করে পিছিয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা পার্কিং দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “লকডাউনের ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে মে মাস পর্যন্ত শহরে গাড়ি চলাচল কম থাকায় পার্কিং কম হয়েছে। তার ফলে পার্কিং বাবদ পুরসভার যে উপার্জন হওয়ার কথা তা হয়নি। এই মুহূর্তে নাইট পার্কিং একেবারেই বন্ধ। ফলে সেখান থেকেও কোনও আয় নেই।’’

কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি মাসে পার্কিং খাতে পুরসভার আয় হয় ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সেই অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে প্রতি মাসে মাত্র ২০ লক্ষ টাকায়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরে পার্কিংয়ের ফি আদায়ের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে দরপত্রের মাধ্যমে তা আদায়ের ভার দেওয়া হয়। গাড়ি প্রতি পুরসভা নির্দিষ্ট ঘণ্টা ধরে যে ফি বরাদ্দ করে তার ভিত্তিতেই বিভিন্ন রাস্তায় ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা পার্কিং ফি আদায় করেন।

খরচ কেমন

ঘণ্টাপ্রতি পার্কিং ফি


•মোটরবাইক, স্কুটার - ৫ টাকা
•চার চাকার গাড়ি - ১০ টাকা
•বাস ও লরি - ২০ টাকা

সারা রাতের পার্কিং ফি (১০- ৭টা)


•স্কুটার ও বাইক - ১০ টাকা
•চার চাকার গাড়ি - ৩০ টাকা
•বাস, মিনিবাস ও লরি - ৬০ টাকা

সূত্র: কলকাতা পুরসভা

পার্কিং ফি আদায়কারী একটি সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েক মাস এমনিতেই রাস্তায় গাড়ি ছিল না বললেই চলে। ফলে পার্কিংয়ের কোনও প্রশ্ন নেই। গত এক মাস রাস্তায় গাড়ি পার্কিং হলেও আগের তুলনায় তা খুবই কম। আপাতত অফিস পাড়াতেই পার্কিং বেশি হচ্ছে। তবে নাইট পার্কিং শহরের সমস্ত জায়গায় বন্ধ থাকায় কোনও ফি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

অনেক সংস্থার তরফে অভিযোগ উঠেছে, যাঁরা রাস্তায় পার্কিং ফি তোলেন, তাঁদের অনেকেই করোনা আতঙ্কের পরে কাজ করতে পারছেন না। তা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন থাকায় সেই সমস্ত জায়গায় পার্কিং ফি নেওয়া চালু করেও ফের তা বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Car Parking KMC Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE