Advertisement
E-Paper

ঝুঁকি বড় বালাই, ব্রাত্য ভূ-পথ

নিরাপদে রেললাইন পারাপারের জন্য রয়েছে ভূগর্ভস্থ পথ। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পথচারীরা সেই ভূগর্ভস্থ পথ ব্যবহার করতেই পারেন না বলে অভিযোগ। যাদবপুর স্টেশনের এই ভূগর্ভস্থ পথটি নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সাধারণত গড়ফা, বিবেকনগর, পালবাজার, রামলালবাজার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা এই ভূগর্ভস্থ পথ ব্যবহার করেন।

দেবাশিস দাস

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৫ ০০:১৭
এ ভাবেই পড়ে যাদবপুরের ভূগর্ভস্থ পথ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

এ ভাবেই পড়ে যাদবপুরের ভূগর্ভস্থ পথ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

নিরাপদে রেললাইন পারাপারের জন্য রয়েছে ভূগর্ভস্থ পথ। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পথচারীরা সেই ভূগর্ভস্থ পথ ব্যবহার করতেই পারেন না বলে অভিযোগ। যাদবপুর স্টেশনের এই ভূগর্ভস্থ পথটি নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সাধারণত গড়ফা, বিবেকনগর, পালবাজার, রামলালবাজার লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা এই ভূগর্ভস্থ পথ ব্যবহার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা জানান, এক সময়ে রেললাইন পারাপারের জন্য কোনও ভূগর্ভস্থ পথ ছিল না। ফলে রেললাইন পার হতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের একাংশ একটি ভূগর্ভস্থ পথ তৈরির দাবি করেন। বিভিন্ন মহলে আবেদন জানানোর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই ভূগর্ভস্থ পথটি তৈরি হয়। গড়ফার বাসিন্দা সুজয় মিত্র বলেন, ‘‘ভূগর্ভস্থ পথটি তৈরি হওয়ার পরে মাস ছয়েক ঠিকঠাক ছিল। তার পরে আর সেটির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। এখন অধিকাংশ সময়েই দুরবস্থায় থাকার জন্য ওখান দিয়ে যাতায়াত করা যায় না।’’

নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, নিয়মিত সেটি পরিষ্কার করা হয় না। আবর্জনা, নোংরা জলে এমন অবস্থা হয় যে ভূগর্ভস্থ পথে পা রাখা যায় না। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেশির ভাগ সময়ে রাতে এই ভূগর্ভস্থ পথে কোনও আলো জ্বলে না। সারা বছরই যাদবপুর স্টেশন লাগোয়া ভূগর্ভস্থ পথটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। দেওয়ালগুলি জলে ভিজে থাকে। ছাদ চুঁইয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে জল পড়ে। এমনকী ঢোকার মুখে ছাদের বিম থেকেও সারা দিন জল চুঁইয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই এই ভূগর্ভস্থ পথটিতে আর ঢোকা যায় না বলে জানাচ্ছেন এলাকার কিছু বাসিন্দা।

বছর পাঁচেক আগে ধুমধাম করে যখন এই ভূগর্ভস্থ পথটির উদ্বোধন হয়েছিল তখন এলাকাবাসীরা ভেবেছিলেন তাঁদের দীর্ঘ দিনের সমস্যার একটা সুরাহা হল। তাঁদের দাবি, ভূগর্ভস্থ পথের এমন দশা হওয়ার জন্য নিত্যযাত্রীদের একাংশ এখনও ঝুঁকি নিয়েই রেললাইন পার করেন। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন,‘‘আমদের যে সব আধিকারিকরা এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

debashis das jadavpur subway mamata bandopadhyay rail minister trinamool tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy