কলকাতা মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
নদীর নীচে সুড়ঙ্গপথের মেট্রোর মাধ্যমে এসপ্লানেড এবং হাওড়ার দূরত্ব অতিক্রম করতে মাত্র ৮ মিনিট লাগলেও ভিড়ের চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাতের পরিস্থিতি কার্যত মেট্রো কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতির খামতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সব থেকে করুণ পরিস্থিতি ছিল মহাকরণ এবং হাওড়া স্টেশনে। দুই স্টেশনেই কোন ট্রেন কোথায় যাচ্ছে, তা বুঝতে গিয়ে কার্যত গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেয়েছেন যাত্রীরা। বহু যাত্রী হাওড়া যাওয়ার ট্রেনে উঠতে গিয়ে এসপ্লানেডের ট্রেনে উঠে পড়েন। আবার যাঁদের
এসপ্লানেডে আসার ছিল, তাঁদের অনেকে ভুল করে হাওড়া চলে গিয়ে ফের ট্রেন ধরে ফিরে আসতে বাধ্য হন। কোন ট্রেন কোন দিকে যাচ্ছে, তা বুঝতে না পারার টানাপড়েনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে একাধিক ট্রেনে ভিড়ের জেরে বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রাতের দিকে দু’টি ট্রেন বাতিলও করা হয়। ওই দিন নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে কম ট্রেন চলেছে। ভিড়ের চোটে ট্রেনের সময় ঠিক না থাকায় বারকয়েক কার্যত দু’টি পাশাপাশি লাইনের ট্রেনকে অল্প সময়ের ব্যাবধানে একই দিকে ছুটতে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। ওই অবস্থায় মধ্যে প্ল্যাটফর্মে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়া ময়দানগামী ট্রেনের ইঙ্গিতবাহী বোর্ড যাত্রীদের বিভ্রান্তি আরও বাড়িয়ে তোলে। পরিষেবা শুরুর আগে ওই সব বোর্ড কেন ঢেকে দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
মহাকরণ এবং হাওড়ায় ভিড়ের সময়ে ট্রেনের আনাগোনা এবং অভিমুখ নিয়ে উপযুক্ত ঘোষণাও শোনা যায়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। প্রায় একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি শনিবারও চোখে পড়েছে। আজ, রবিবার ওই মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকছে। সোমবার, সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে পরিস্থিতি কেমন থাকে, যাত্রীদের নজর থাকবে সেই দিকে।
এ দিকে, শুক্রবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এসপ্লানেড থেকে হাওড়া পর্যন্ত পরিষেবা শুরুর প্রথম দিনে ৭০,২০৪ জন যাত্রী সফর করেছেন বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেলের
মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। এর মধ্যে হাওড়া ময়দান স্টেশন থেকে সর্বোচ্চ ২৩,৪৪৪ জন, হাওড়া থেকে ২০,৯২৩ জন যাত্রী সফর করেন। মহাকরণ এবং এসপ্লানেড স্টেশন থেকে যথাক্রমে ১২,৩৮৪ জন এবং ১৩,৪৫৩ জন যাত্রী সফর করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy