শহরে নামার পরে বিগড়ে গেল বিমান। আর তার জেরে রবিবার সকালে কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে পড়লেন ৬৩ জন যাত্রী।
রবিবার সকালে উড়ান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান (বিজি)-র ছোট এটিআর বিমানটি নির্ধারিত সময়েই কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। তার পরে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ফের সেটির ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতার মাটি ছোঁয়ার পরে বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। ফলে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বেঙ্গালুরুর শিশুরোগ চিকিৎসক শেখর শেষাদ্রি। তিনি জানান, রবিবার সকালে ঢাকা পৌঁছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল দলের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বিমান দেরি হওয়ায় তা বাতিল করতে হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টের একটি বিমানে তাঁদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বাংলাদেশ বিমান সংস্থার ওই ছোট বিমানটিতে ৭১ জন যাত্রীর ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় পৌঁছনোর পরে বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ৩০ নম্বর পার্কিং বে-তে রেখে সেটি সারানোর চেষ্টা করেন ইঞ্জিনিয়ারেরা।
শেখরবাবু জানিয়েছেন, উড়ান সংস্থার তরফ থেকে প্রথমে জানানো হয়, উড়ান কিছুটা দেরিতে ছাড়বে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই উড়ান সংস্থার প্রতিনিধিদের আর দেখা যায়নি। যাত্রীরাও বিমানবন্দরের ভিতরেই অপেক্ষা করতে থাকেন। শেখরবাবুর কথায়, ‘‘কোনও ঘোষণা নেই, কোনও আশ্বাস নেই। চুপ করে বসে থাকতে হয়েছে।’’ এর মধ্যেই আট জন যাত্রী তাঁদের টিকিট বাতিল করে চলে যান।
দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের বেসরকারি উড়ান সংস্থা ‘ইউএস বাংলার’ উড়ান কলকাতা থেকে ঢাকা উড়ে যায়।
অভিযোগ, আটকে পড়া যাত্রীদের সেই বিমানে জায়গা করে দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। সন্ধ্যায় ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে বিজি-র আরও একটি বিমান ছিল। কিন্তু উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়, সেই বিমানে আসন খালি নেই। ফলে সকাল থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষারত
যাত্রীদের দ্বিতীয় সেই বিমানেও নিয়ে যাওয়া যাবে না। পরে তাঁদের জন্য ঢাকা থেকে একটি খালি বোয়িং বিমান কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে আসে ওই উড়ান সংস্থা। বিকেল সাড়ে ৪টের পরে আটকে পড়া ৬৩ জন যাত্রীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি।