অলোককুমার দাস
এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সময়মতো চিকিৎসা না করার অভিযোগ উঠল ই এম বাইপাসের অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বুধবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ কসবার হালতুর বাসিন্দা অলোককুমার দাসকে (৫৫) ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে রোগীকে নামানোর আগেই হাসপাতালের তরফে পরিজনদের জানানো হয়, প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে। ওই হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ অনেক। চিকিৎসকও পর্যাপ্ত নেই।
রোগীর পরিজনেরা জানান, বারবার ভর্তির অনুরোধ করার পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অলোকবাবুর প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন। সকাল সওয়া আটটা নাগাদ অলোকবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ দিন মৃতের আত্মীয় অলোক বসু জানান, দীর্ঘদিন ধরে অলোকবাবু ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই বেসরকারি হাসপাতালের দু’জন ডাক্তারকেই দেখাতেন তিনি। তাঁদের পরামর্শে মাস কয়েক আগে দিল্লির একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাও করান। শীতকালে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ত। কখনও অসুস্থ হলে
ওই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হত তাঁকে। পরিজনদের অভিযোগ, অ্যাপোলোর চিকিৎসকেরা প্রথমে তাঁকে ভর্তি করতেই রাজি হননি। বারবার অনুরোধ করলে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। দশ মিনিট পরেই জানানো হয়, তিনি মারা গিয়েছেন। অলোকবাবুর কথায়, ‘‘সময়মতো চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো এই বিপদ ঘটত না।’’
হাসপাতালের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, হার্ট বিকল হয়েই অলোকবাবু মারা গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের অসুখে ভুগছিলেন তিনি। এ দিন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই পরিবারের লোকজনকে বারবার জানানো হয়েছিল, জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ খুব বেশি। তাই অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই উচিত হবে। কিন্তু রোগীর পরিজনেরা অনড় ছিলেন। তাঁরা বারবার ভর্তির জন্য চাপ দিতে থাকেন। চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অলোকবাবুকে বাঁচানো যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy