Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bowbazar

Bowbazar: কাজ সামলে ছুটির দিনে কড়া পাহারা ভাঙা মহল্লায়

এ দিন ভাঙা মহল্লা পরিদর্শন করলেন মেট্রোকর্তারা। তাঁদের দেখেই সেখানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন বাসিন্দাদের কয়েক জন।

দুর্গা পিতুরি লেনের ভাঙা মহল্লায় বাসিন্দদের ভিড়। রবিবার।

দুর্গা পিতুরি লেনের ভাঙা মহল্লায় বাসিন্দদের ভিড়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

চন্দন বিশ্বাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ০৫:২৭
Share: Save:

বুধবার রাত থেকেই হোটেল, অফিস আর বাড়ি করেই দিন কাটছিল তাঁদের। চাকরি ‘বাঁচাতে’ ভাঙা বাড়ির উপরে নজরদারির কাজে কিছুটা ঢিলেমি দিয়েছিলেন বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দারা। রবিবার ছুটির দিনে তাই সকাল থেকেই ঘর পাহারায় রইলেন তাঁরা। প্রয়োজনীয় জিনিস বার করা থেকে শুরু করে ফাটল পর্যবেক্ষণ— চলল সব কিছুই।

এ দিন কিছুটা ফাঁকা ছিল বৌবাজারের সোনাপট্টি। দু’-একটি দোকান খোলা থাকলেও বেশির ভাগের ঝাঁপ ছিল বন্ধ। তবে ছুটির দিনে ভাঙা মহল্লায় বাসিন্দাদের ভিড় বেড়েছে। কার্যত গোটা দিন ধরেই পুরনো বাড়ি সংক্রান্ত কাজেই ব্যস্ত রইলেন বাসিন্দারা। কেউ ছুটলেন কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে, কেউ আবার ঘুরলেন মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে চলল ভাঙা মহল্লার ঘর ‘পাহারা’ দেওয়ার কাজও। নতুন করে বাড়িতে ফাটল বাড়ল কি না, সে দিকেও চলল নজরদারি। কেউ আবার দিনভর পুলিশি নজর এড়িয়ে বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস বার করতে ব্যস্ত থাকলেন।

হোটেল থেকে এ দিন সকালেই দুর্গা পিতুরি লেনের ভাঙা বাড়ি দেখতে চলে এসেছিলেন সন্দীপ সাউ। সঙ্গে ছিলেন আরও এক জন। চলে যাওয়ার সময়ে সন্দীপ বললেন, ‘‘একা মানুষ, অফিস-বাড়ি কোন দিক সামলাব? এত দিন তো সকালে একটু দেখাশোনা করেই অফিস যেতে হচ্ছিল। একে বাড়িছাড়া, তার উপরে যদি এর জন্য কাজটাও যায় তা হলে তো পথে বসতে হবে। সব ভেবেই অফিস করছিলাম। তবে আজ ছুটি থাকায় এসে দেখে গেলাম সব ঠিক আছে কি না।’’ বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন মধ্যবয়সি এক ব্যক্তিও। সাংসদের ডাকা সভা শেষে সোজা চলে এলেন দুর্গা পিতুরি লেনে। তাঁর কথায়, ‘‘এই চক্করে বৃহস্পতিবার অফিস যেতে পারিনি। টুকটাক কিছু জিনিস বার করতে পেরেছিলাম। কিন্তু তার পরে দু’দিন আর এ মুখো হতে পারিনি। হোটেলে বসে ঘরের দামি জিনিসপত্র আদৌ ঠিক আছে কি না, তা ভেবেই চোখের পাতা এক করতে পারছিলাম না। যত ক্ষণ না সেগুলো অন্যত্র নিয়ে যেতে পারছি, দুশ্চিন্তা যাবে না।’’ ভাঙা বাড়ি দেখতে আসা রাজকুমার চৌরাসিয়াও বলছেন, ‘‘কাজ বাঁচাব নাকি বাড়ি পাহারা দেব! সব দিক সামাল দিয়েই চলতে হচ্ছে। এই ভোগান্তি যে কবে শেষ হবে!’’

এ সবের মাঝেই এ দিন ভাঙা মহল্লা পরিদর্শন করলেন মেট্রোকর্তারা। তাঁদের দেখেই সেখানে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়লেন বাসিন্দাদের কয়েক জন, কথা বললেন মেট্রোর কর্তাদের সঙ্গে। বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁদেরই এক জন বললেন, ‘‘বাড়ি পাহারা দিতে এসে যে মেট্রোর কর্তাদের দেখা পেয়ে যাব, ভাবিনি। এখন সব ভালয় ভালয় শেষ হলেই বাঁচি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bowbazar Bowbazar Building Cracked
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE