হাঁটু সমান জলে রাস্তা আর ফুটপাত, আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। সব গাড়িই তাই রাস্তার মাঝ বরাবর চলছে। কোথাও কোথাও জলের উচ্চতা গাড়ির চাকার সমান।
নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় সোমবার দুপুরে এবং বিকেলে পরিস্থিতি ছিল এমনই। এর জেরে গাড়ির গতি মন্থর হয়ে পড়ে, যানজটের সৃষ্টি হয়। দমদম আন্ডারপাসের নাগেরবাজারমুখী লেনে জল জমে আটকে পড়ে একটি বেসরকারি বাস। সৌজন্যে, মিনিট পঞ্চাশের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। দক্ষিণ দমদমের পাশাপাশি দমদম পুর এলাকা, উত্তর দমদম, বাগুইআটি, কেষ্টপুর ও রাজারহাট-গোপালপুরের একাধিক জায়গাতেও জল জমে যায়। সেই জল নামতে রাত গড়িয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন স্কুলফেরত পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ।
দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা দীপা সাহার কথায়, ‘‘মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাই। আচমকা বৃষ্টিতে প্রায় হাঁটুজল জমে গেল।’’ বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় রাস্তার অবস্থা এমনিতেই বেহাল। জল জমে রাস্তা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
দক্ষিণ দমদমের পুরকর্তাদের একাংশের কথায়, একটানা বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু বাগজোলা খাল ভরে থাকায় জল নামতে সময় লাগছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, বেশি বৃষ্টিতে জল জমলেও তা নামতে দীর্ঘ ক্ষণ সময় লাগছে। মেয়র পারিষদ মৃন্ময় দাস বলেন, ‘‘এক ঘণ্টার মধ্যে বিপুল বৃষ্টিতে সর্বত্র জল জমেছে। খাল ভর্তি থাকায় জল নামতে ঘণ্টা তিন-চার সময় লাগবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)