Advertisement
২১ মে ২০২৪
New Town Body Recovered

নিউ টাউনে ট্রলি ব্যাগে পাওয়া দেহের পরিচয় মিলল, ধনী প্রবাসী বাঙালি সম্প্রতি চলে আসেন বাংলায়

শনিবার ভোরে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা এলাকার কারিগরি ভবনের পিছন দিকে পাঁচুরিয়া এলাকায় একটি নালার মধ্যে লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়।

নালার উপর পড়ে থাকা লাল ট্রলি ব্যাগ। — নিজস্ব চিত্র।

নালার উপর পড়ে থাকা লাল ট্রলি ব্যাগ। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা ও পটাশপুর শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ২১:৪০
Share: Save:

কলকাতার অদূরে নিউ টাউনে ট্রলি ব্যাগে উদ্ধার হওয়া প্রৌঢ়ের নাম পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। ওই প্রৌঢ় খুনে ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি তাঁরা স্বীকারও করেছেন। যদিও তাঁরা কী ভাবে জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

শনিবার ভোরে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা এলাকার কারিগরি ভবনের পিছন দিকে পাঁচুরিয়া এলাকায় একটি নালার মধ্যে লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ থেকে এর প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই প্রথম ব্যাগটি দেখতে পান। ব্যাগ থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়তে দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। প্রৌঢ়ের সঙ্গে কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে তদন্তে জানা যায়, নিহতের নাম সুবোধ সরকার। পেশায় ব্যবসায়ী। আদতে ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা। সেখানকার সম্পত্তি বিক্রি করে কলকাতার অদূরে বেলঘরিয়ায় এসে থাকা শুরু করেছিলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, সুবোধকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের এক জনের নাম সৌম্য জানা। তিনি এগরা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শুক্রবার পটাশপুর-বালিচক রাজ্য সড়ক ধরে রাত আড়াইটে নাগাদ একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে এগরার দিকে আসছিলেন সৌম্য। পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের সীমানা এলাকায় পটাশপুরের দেহাটি সেতুর কাছে নাকা চেকিংয়ের সময় সৌম্যের গাড়ি আটকানো হয়। তাঁর গাড়ির ডিকি থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখেছিলেন নাকা চেকিংয়ে থাকা পুলিশকর্মীরা। এর পরেই সৌম্য ও তাঁর গাড়িচালককে আটক করা হয়। তাঁদের ইতিমধ্যেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌম্য পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। কলকাতায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। বাড়িতে বাবা, মা ও এক দিদি আছেন। বাবা পোস্ট অফিসে চাকরি করতেন। পুলিশের একটি সূত্রের মত, জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সৌম্য। যদিও নেপথ্য-কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে আপাত ভাবে টাকার লোভে প্রৌঢ় খুনের তত্ত্ব বেশি জোরালো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE