পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর পরে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা বাড়ল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা, নিত্যযাত্রী কিংবা পথচারীদের কথায়, এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরে এটা স্বাভাবিক। তবে এই তৎপরতা বাকি দিনগুলিতেও বজায় থাকবে কিনা, তাই নিয়ে তাঁদের সংশয় রয়েছে।
ওই এলাকায় রাস্তা পারাপারে অসুবিধা, মোটরবাইক থেকে শুরু করে পণ্যবাহী গাড়ির বেপরোয়া চলাচল নিয়ে বছরভর অভিযোগ শোনা যায়। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, এই রাস্তায় এমনিতেই গাড়ির গতি বেশি থাকে। বিভিন্ন মোড়ে গার্ডরেল, ট্র্যাফিক কর্মী মোতায়েন করে বা মাঝেমধ্যে নাকা-তল্লাশি হলেও দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযুক্তিকরণ ও বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারে সার্ভিস রোড তৈরির কাজের জেরে সমস্যা বেড়েছে বলে দাবি তাঁদের।
সোমবার রাতে বিমানবন্দরের তিন নম্বর গেট সংলগ্ন যশোর রোড এবং বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, গার্ডরেল বসানো হয়েছে সেখানে। বেড়েছে ট্র্যাফিক কর্মীদের নজরদারি। শুরু হয়েছে নাকা-তল্লাশি। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ওই সব পরিকাঠামো আগের থেকে বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয়। যশোর রোডের বাকড়া মোড়, বিরাটি মোড়, মাইকেলনগর মোড়, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মাঠকল থেকে শুরু করে তিন নম্বর গেট পর্যন্ত অংশে রাস্তা পারাপারের সমস্যা রয়েছে। সেখানে প্রয়োজন সাবওয়ের।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে। শেষ হলে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা আধুনিক হবে। রাস্তা পারাপারের সমস্যা ও পথ নির্দেশিকার অভাবের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্তরে পর্যালোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, দুই এক্সপ্রেসওয়ের সংযুক্তিকরণ শেষ হলে ট্র্যাফিক পরিকাঠামো আরও বাড়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্তরে পর্যালোচনা হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)