Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Bicycle

বন্ধ লোকাল, সাইকেলের ভিড়ে ত্রাহি রব পুলিশের

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, অনেক সাইকেল চালকই ট্র্যাফিক আইন মানছেন না। সেই কারণেই ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সাইকেল নিয়ে হাওড়া ব্রিজ পার হচ্ছেন মানুষ। ফাইল চিত্র।

সাইকেল নিয়ে হাওড়া ব্রিজ পার হচ্ছেন মানুষ। ফাইল চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
Share: Save:

চিত্র এক: ট্র্যাফিক সিগন্যাল লাল। তবু তা অমান্য করে এগিয়ে যাচ্ছেন সাইকেল আরোহী। যা দেখে দুর্ঘটনা ঠেকাতে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে আটকালেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা।

চিত্র দুই: রাস্তা জুড়ে পরপর বেশ কিছু সাইকেল চলেছে ধীর গতিতে। আর সেগুলির ঠিক পিছনে লম্বা গাড়ির সারি। সাইকেলের জন্য যাওয়ার পথ পাচ্ছে না কোনও গাড়িই।

প্রথম চিত্রটি দক্ষিণ শহরতলির একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের। দ্বিতীয়টি মহাত্মা গাঁধী রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোডের সংযোগস্থলের কাছে, ট্রামরাস্তার সামনে। লালবাজার সূত্রের খবর, আনলক-পর্বে গত কয়েক মাসে ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে চিন্তার নতুন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সাইকেল। বড় রাস্তায় সাইকেল চলাচলের অনুমতি না থাকলেও ছোট রাস্তাগুলিতে সেই অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। ফলে শহরের প্রায় সর্বত্রই দিনভর লেগে রয়েছে সাইকেলের ভিড়। আলাদা সাইকেল লেন না থাকায় দিনের ব্যস্ত সময়ে গাড়ির গতি প্রায়ই খুব শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিটি রোড ও স্ট্র্যান্ড রোড-সহ বেশ কিছু রাস্তায় সাইকেলের কারণে প্রায়ই যানজট হচ্ছে। ট্র্যাফিক পুলিশের আশা, লোকাল ট্রেন চালু হয়ে গেলে সাইকেলের চাপ কিছুটা কমতে পারে।

ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় মফস্সল থেকে বহু মানুষ মোটরবাইক বা সাইকেলে চেপে শহরে আসছেন। মানবিকতার খাতিরেই পুলিশ সাইকেলের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। অবস্থা এখন এমনই দাঁড়িয়েছে যে, সাইকেল আরোহীরা যাতে সিগন্যাল মেনে চলেন, তার জন্য বেশির ভাগ সিগন্যালে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সকাল-বিকেল তাঁরা মূলত সাইকেল আরোহীদের উপরেই নজরদারি চালাচ্ছেন। যাতে সিগন্যাল অমান্য করে তাঁরা কোনও দুর্ঘটনা ঘটিয়ে না ফেলেন। গত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছ’জন সাইকেল আরোহী পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। অক্টোবর মাসে কোনও সাইকেল আরোহীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি বলেই লালবাজার সূত্রের খবর।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, অনেক সাইকেল চালকই ট্র্যাফিক আইন মানছেন না। সেই কারণেই ওই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, লোকাল ট্রেন চালু হলেই শহরের রাস্তায় সাইকেল বা ধীর গতির যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার ব্যাপারে পুনরায় চিন্তাভাবনা করা হবে। তবে আনলক-পর্বের প্রথম দিকে যত সাইকেল শহরে আসছিল, এখন সেই সংখ্যাটা অর্ধেকে নেমেছে।

পুলিশকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, যে সব রাস্তায় পৃথক সাইকেল লেন তৈরি করা সম্ভব, সেখানে তা করলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এর আগে ধীর গতির যান চলাচলের জন্য এমজি রোড, তারাতলা রোড-সহ বিভিন্ন রাস্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bicycle Police administration Howrah Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE