দিনেদুপুরে বালিগঞ্জ থানা এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ড থেকে রবিকুমার গুপ্ত (২২) নামে ওই যুবককে ধরা হয়। ঘটনার সময়ে রবিকুমার ওই বেসরকারি অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল বলেই পুলিশের দাবি। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ৮ জানুয়ারি শরৎ বসু রোডে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে গুলি চালানোর ওই ঘটনা ঘটে। অফিসের রক্ষীরা জানিয়েছিলেন, এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার নামে জোর করে ঢুকে পড়েছিল এক যুবক। ভিতরে ঢুকেই রক্ষীদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। এর পরেই আচমকা গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক ছড়ায়। রাতেই বালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা।
তদন্তে নেমে ওই অফিস ও সংলগ্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে গুলি চলল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঝাড়খণ্ডে বাবলু শ্রীবাস্তব, ভোলা পাণ্ডে-সহ একাধিক দুষ্কৃতীর দল রয়েছে, যারা ওই রাজ্যের কোলিয়ারি এলাকার ব্যবসায়ীদের থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করে। বছর দুয়েক আগে আমিন সাউ নামে আরও এক দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা আদায় করতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের কোলিয়ারি অঞ্চলে কলকাতার অনেক ব্যবসায়ীও ব্যবসা করেন। আমিনের দলবল তাঁদেরই ‘টার্গেট’ করতে শুরু করে। সেই মতো বালিগঞ্জের ওই ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই ছিল দুষ্কৃতী দলটির মূল উদ্দেশ্য।