Advertisement
১১ মে ২০২৪
Kolkata news

ব্যবসায়ী লুঠের ঘটনায় এএসআইয়ের পর এ বার গ্রেফতার পুলিশের কনস্টেবল

বুধবার রাতে তাঁকে কাঁচরাপাড়ার বীজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ১৪:১৬
Share: Save:

গাড়িতে তুলে ব্যবসায়ীকে লুঠের ঘটনায় জড়িত পুলিশ কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করল মুচিপাড়া থানার পুলিশ। তাঁর নাম উৎপল কুমার। তিনি দত্তপুকুরের বামনগাছির বাসিন্দা। বুধবার রাতে তাঁকে কাঁচরাপাড়ার বীজপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।

গত ৪ জুলাই নদিয়ার ব্যবসায়ী বাবলু নাথ টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে মুচিপাড়া থানা এলাকায় এলে দু’জন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তাঁকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেন। পরে বিমানবন্দর পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে টাকা এবং সোনা হাতিয়ে বাবলুকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি চলে যায়। মুচিপাড়া থানায় বাবলু অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশের রেকর্ড দফতরের কর্মী এএসআই আশিস চন্দ্রকে গ্রেফতার করে। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হন এক সহযোগী এবং গাড়ির চালকও।

কিন্তু ধৃতদের জেরা করতে গিয়েই জানা যায়, ওই ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত ছিল এবং তারাও অপহরণের সময়ে গাড়িতে ছিল। পুলিশ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং ধৃতদের সঙ্গে কথা বলে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলের নাম পায়। আর সেই সূত্র ধরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই কনস্টেবল ঘটনায় যুক্ত থাকলেও তিনি ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে থানায় আসছেন না। এমনকি, তিনি কোথায় থাকছেন তা-ও কেউ জানেন না। এ বার সেই কনস্টেবলও গ্রেফতার হল।

আরও পড়ুন: বাসে জানলার বাইরে যাত্রীর হাত, পিলারে ধাক্কা লেগে কেটে পড়ল কলকাতার রাস্তায়

এই ঘটনার তল্লাশি চলাকালীন লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল, এএসআই আশিস চন্দ্র ২০১৪ সালের ৪ জুলাইয়েও এক বার চুরি, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও হয়। তাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং দু’বছরের জন্য আশিসবাবুর সমস্ত পদোন্নতি আটকে যায়। ২০১৮ সাল থেকে ধৃত কনস্টেবল কেন থানায় আসতেন না তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন পুলিশ। এএসআই আশিস চন্দ্রের মতো তিনিও অন্য চুরি, প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ফের হেনস্থার শিকার টলি অভিনেতা, নিগ্রহ করা হল তাঁর বান্ধবীকেও

তবে এই ঘটনায় একটা প্রশ্ন সামনে উঠে আসছে। এক বার এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েও কী করে ওই পুলিশকর্মী আবারও এমন অপরাধমূলক কাজ করলেন?

তদন্তকারীদের জেরায় ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ হয়। তাই তিনি ওই অপরাধ করে ফেলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Muchipara Crime Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE