E-Paper

ছাত্রাবাসে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ধরা পড়লেন আরও দু’জন

সোমবার ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত সূত্রের খবর, ইন্দ্রজিৎকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ধৃতেরা প্রাথমিক বয়ানে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪২

—প্রতীকী চিত্র।

মুচিপাড়া থানা এলাকার ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম ইন্দ্রজিৎ হাঁসদা এবং শেখর মণ্ডল। ইন্দ্রজিতের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে। শেখর মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। রবিবার ভোরে প্রথমে বংশীহারি থেকে ইন্দ্রজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধরা হয় শেখরকে। ইন্দ্রজিৎ ও শেখর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি স্নাতকোত্তরের ছাত্র। এর আগে এই মামলায় আরও ১৫ জন অভিযুক্ত ছাত্র গ্রেফতার হয়েছেন।

গত ২৭ জুন ওই ছাত্রাবাসের আবাসিক শঙ্কর বর্মণের মোবাইল চুরি যায়। ২৮ জুন বেলগাছিয়ার বাসিন্দা, ৩৭ বছরের ইরশাদ ওই ছাত্রাবাস চত্বরে কফি কিনতে গেলে মোবাইল চোর সন্দেহে তাঁকে রাস্তা থেকে মারতে মারতে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই ইন্দ্রজিৎ এবং শেখর পালিয়ে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা নিজেদের মোবাইলও বন্ধ রেখেছিলেন। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুই অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। ইন্দ্রজিতের কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত সূত্রের খবর, ইন্দ্রজিৎকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ধৃতেরা প্রাথমিক বয়ানে অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান তিনি। ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরের আইনজীবী না থাকায় তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন কলকাতার লিগাল এড ডিফেন্স কাউন্সেলের আইনজীবী। তিনি তাঁর মক্কেলদের জামিনের আর্জি জানান। বিচারক ইন্দ্রজিৎ এবং শেখরকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় আগে ধৃত ওই ছাত্রাবাসের আরও ১৫ জন অভিযুক্ত আবাসিক জেল হেফাজতে রয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

arrest police investigation Mob Lynching

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy