Advertisement
E-Paper

আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ধৃত অভিযুক্ত যুবক

সুদীপ্ত মোবাইল সারানোর কাজ করেন। তিনি চারু মার্কেট থানা এলাকার চারুচন্দ্র প্লেস ইস্টে ভাড়াবাড়িতে ঊর্মি দাসের (২২) সঙ্গে থাকতেন। তাঁরা ‘লিভ ইন পার্টনার’ ছিলেন। ছ’মাস আগে ওই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ঊর্মির ঝুলন্ত দেহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫২
ঊর্মি দাস

ঊর্মি দাস

সঙ্গিনীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুদীপ্ত দাস। বুধবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে তার সঙ্গিনীকে মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সুদীপ্ত মোবাইল সারানোর কাজ করেন। তিনি চারু মার্কেট থানা এলাকার চারুচন্দ্র প্লেস ইস্টে ভাড়াবাড়িতে ঊর্মি দাসের (২২) সঙ্গে থাকতেন। তাঁরা ‘লিভ ইন পার্টনার’ ছিলেন। ছ’মাস আগে ওই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় ঊর্মির ঝুলন্ত দেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর বাবা উত্তম দাস চারু মার্কেট থানায় সুদীপ্ত এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার উত্তমবাবু দাবি করেন, নানা কারণে ঊর্মিকে সন্দেহ করতেন সুদীপ্ত। টাকার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হত। তাঁর দাবি, পর্যাপ্ত টাকা না দিলে মারধর করা হত বলেও ঊর্মি তাঁদের জানিয়েছিলেন। উর্মি-সুদীপ্তর কয়েক জন বন্ধুও ঘটনায় যুক্ত বলে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন। অভিযুক্ত বন্ধুদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানান।

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে সুদীপ্ত বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে দরজা ভাঙলে তাঁরা ঊর্মিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ঊর্মিকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় এবং আটক করে সুদীপ্তকে।

ঊর্মির পরিবারের দাবি, গত বছর শুভ প্রামাণিক নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে স্থির হয় ঊর্মির। ফেব্রুয়ারি মাসে দু’জনের রেজিস্ট্রি বিয়েও হয়। কিন্তু এর পরেই দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শুভর থেকে বিবাহ বিচ্ছেদও চান ঊর্মি। পুলিশ জেনেছে, এর কিছু দিন পর থেকেই সুদীপ্তর সঙ্গে লিভ ইন শুরু করেন ঊর্মি। কিন্তু সুদীপ্তের মাসিক আয় ঠিক মতো না থাকায় সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ঊর্মির বিভিন্ন বন্ধুদের নিয়ে সুদীপ্ত এবং তাঁর পরিজনেরা সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা এমনকী হাতাহাতিও হত। ঊর্মির পরিবারের অভিযোগ, দিন দুই আগেই ঊর্মি তাঁদের মানসিক অত্যাচারের কথা জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে টাকার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়ার কথাও বলেছিলেন।

Crime Suicide ঊর্মি দাস সুদীপ্ত দাস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy