E-Paper

মুক্তিপণ চেয়ে অপহরণের নাটক, উদ্ধার

পুলিশ সূত্রের খবর, সুশান্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি নিমতা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির বাজারে লক্ষাধিক টাকা ধার রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩৭
An image of kidnap

—প্রতীকী চিত্র।

নিখোঁজ থাকা এক ব্যক্তির জন্য মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছিল পরিজনদের কাছে। এমনকি, পরিজনদের ফোনে আসে নিখোঁজ ব্যক্তির ভয়েস মেসেজও। নিমতা থানা এলাকার এই ঘটনার তদন্তে নেমে এখানেই খটকা লেগেছিল তদন্তকারীদের। মোবাইলের গতিবিধির উপরে নজর রেখে শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় ওই নিখোঁজ ব্যক্তিকে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গোটা ঘটনাটিই ছিল সাজানো।

পুলিশ সূত্রের খবর, সুশান্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি নিমতা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির বাজারে লক্ষাধিক টাকা ধার রয়েছে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরের দিন সুশান্তের পরিজনদের ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। তাই সুশান্তকে মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পাঠালে তাঁকে ছাড়া হবে না বলেও জানানো হয়। এখানেই খটকা লাগে পুলিশের। কারণ, যেখানে বাজারে সুশান্তের লক্ষাধিক টাকা ধার রয়েছে, সেখানে মাত্র ৫০ হাজার টাকা কেন চাওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল তদন্তকারীদের মাথায়। এক দিনের মধ্যে সুশান্তকে মহারাষ্ট্রে কী করে নিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়েও ধন্দে পড়ে পুলিশ।

বিভিন্ন সূত্র এবং মোবাইলের গতিবিধির উপরে নজর রাখতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ‘নিখোঁজ’ সুশান্ত তাঁর এক সময়ের সহকর্মীর বাড়িতে রয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নিমতা থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে সুশান্তকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সুশান্ত স্বীকার করেছেন যে, বাজারে তাঁর মোটা টাকা ঋণ ছিল। তাই অন্তত ৫০ হাজার টাকা পেলে ঋণ কিছুটা কমে যেত। কিন্তু তিনি পরিবারকে জানাতে চাইছিলেন না। যদিও আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় কী ভাবে তাঁর পরিবার মুক্তিপণ দিত, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়। পুলিশ সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সুশান্ত জানিয়েছেন যে, আত্মীয়দের থেকে টাকা পেতেই তাঁদের ফোনে হিন্দিতে মেসেজ ও ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে অপহরণের গল্প ফাঁদেন তিনিই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kidnap Money due money police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy