একটি ফোন আসার পরেই স্বামীর খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বছর চৌত্রিশের যুবতী। তার কিছু পরেই বাড়ির অদূরে গলির মুখে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন তিনি। গায়ের ওড়না গলায় প্যাঁচানো। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় শিল্পী বিবির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। পুলিশ তদন্তে নামলেও, এখনও কেউ গ্রেফতার হননি। ঘটনার রাতে শিল্পীকে কে বা কারা ফোন করেছিলেন, আপাতত তা-ই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পেশায় নার্স শিল্পী মহেশতলা পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট মিলেছে। ময়নাতদন্তে খুনের প্রমাণ মিলেছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। পাশাপাশিই নিহতের স্বামী এবং এক পড়শিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন, কে রাতে শিল্পীকে ফোন করেছিলেন। স্বামী সেই সময় কোথায় ছিলেন? তাঁর কথাতেই কেউ শিল্পীকে ফোন করে ডেকেছিলেন কি না, তা-ও বুঝতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, স্বামীর সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে কেউ ফাঁদ পেতেছিলেন। সেই ফাঁদে পা দিয়েই খুন হয়েছেন শিল্পী।
শিল্পীর ভাই শেখ সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, শনিবার রাতে দিদির শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের ফোন করেছিলেন। ফোন করে তাঁরা জানান যে, কারও একটা ফোন পেয়ে শিল্পী বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। ফোনে শিল্পীকে বলা হয়েছে, তাঁর স্বামী নাসির আলিকে কেউ বা কারা মারধর করেছেন। কিন্তু স্বামী তাঁকে ফোনে জানান, সে রকম কিছুই ঘটেনি। তার পরেও নাসির ঘরে না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে বেরিয়েছেন শিল্পী।
স্ত্রীর দেহ উদ্ধারের পর নাসিরও জানিয়েছিলেন, শিল্পীকে তাঁর পরিচিত কেউ ফোন করে ডেকেছিলেন বলে তিনি সন্দেহ করছেন। নাসিরের আরও দাবি, শিল্পীর দেহ উদ্ধারের সময়ে তাঁর গলার চেন ছাড়া গায়ে থাকা বাকি গয়না অক্ষত ছিল।
পুলিশ সূত্রে , তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে বাড়ির সামনে থেকে শিল্পীর দেহ উদ্ধার হয়, সেই বাড়ির এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।