বেলঘরিয়ার মুরগি ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল সেভেন এমএম পিস্তল। বুধবার দুপুরে ওই খুনে জড়িত সন্দেহে ধৃত তিন জনের থেকেই খুনের আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বেলঘরিয়া থানার বিবেকানন্দ নগরের বাসিন্দা সুখেন্দু কাঁড়ারের (৫২) বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে ধারাল অস্ত্রের ঘায়ে জখম হন সুখেন্দুর মা। মারধর করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী দীপ্তিকেও। ঘটনার পরে নিহতের পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলাকা থেকে ‘ছোট ভাই’ ওরফে কিশোর সাউ, বিশ্বনাথ মাইতি ও সন্টাই ওরফে দেবজ্যোতি ঘোষকে গ্রেফতার করে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত তারক হেলা এখনও পলাতক। পুলিশ জানায়, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
সুখেন্দুবাবুর মা অসীমাদেবীর অভিযোগ, এর আগে তারকের কথামতো তাঁর ঘুরতে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ওই মুরগি ব্যবসায়ী। কিন্তু এ বারে তিনি রাজি হননি। মৃতের স্ত্রী দীপ্তিদেবীর অভিযোগ, ‘‘দাবিমতো কাজ না করার জন্যই লোক পাঠিয়ে স্বামীকে খুন করিয়েছেন তারক’’। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘ছোট ভাই’ কিশোর ও বিশ্বনাথ ঢুকেছিল সুখেন্দুবাবুর বাড়িতে। গুলি চালিয়েছিল বিশ্বনাথ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকায় একটি তেলেভাজার দোকান চালায় তারক। তবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গ যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কামারহাটির এক তৃণমূল নেত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল তারককে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তারকের। তবে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘এই সব ব্যক্তিরা রাজনৈতিক নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে। তা বলে তাঁরা দলের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। দলেরও কেউ নয়।’’