কড়া নয়, চিনা মাঞ্জা ঠেকাতে ‘মিঠে’ দাওয়াইয়ের পথেই হাঁটল কলকাতা পুলিশ।
সিন্থেটিক মাঞ্জা যাতে ব্যবহার করা না হয়, শুক্রবার তপসিয়া থানার পুলিশ তাদের থানা এলাকার অলিগলিতে ঢুকে মাইকে সেই প্রচার চালাল। বিলি করা হল লিফলেটও।
এর আগেও তপসিয়া থানা মা উড়ালপুলের দু’ধারে প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও চিনা মাঞ্জা থেকে ঘটেছে একাধিক বিপত্তি। মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন মোটরবাইক আরোহী।
এ দিন তপসিয়ার অলিগলিতে প্রচারের পাশাপাশি বিলি করা হয় লিফলেট। তাতে লেখা, ‘সিন্থেটিক মাঞ্জা বা আঘাত ঘটাতে পারে এমন সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়াবেন না। কাউকে ও়ড়াতে দেবেন না।’ কেউ এমন সুতো ব্যবহার করছেন নজরে এলে যেন থানায় ফোন করে জানানো হয়, তা-ও লেখা আছে লিফলেটে। সঙ্গে দেওয়া আছে তপসিয়া থানার ফোন নম্বর। তবে শুধুই প্রচার নয়। মোটরবাইক চালক ও আরোহীদের মাঞ্জার বিপদ থেকে বাঁচাতে মা উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ-কে উড়ালপুলের রেলিংয়ে জাল লাগানোর প্রস্তাবও দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, মা উড়ালপুলের দু’পাশের এলাকার সব থানাকেই সিন্থেটিক মাঞ্জা ব্যবহারের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রগতি ময়দান, তপসিয়া, ট্যাংরা, তিলজলা, কড়েয়া, বেনিয়াপুকুরের মতো থানাগুলিকে বলা হয়েছে তাদের এলাকায় প্রচার করতে। পুলিশের বক্তব্য, অনেক সময়ে দেখা যাচ্ছে, নজর এড়িয়ে চিনা মাঞ্জার সুতো ব্যবহার হচ্ছে এবং তাতে একাধিক মোটরবাইক চালক বা আরোহী জখম হয়েছেন।
মা উড়ালপুলের দু’দিকের থানাগুলি জানাচ্ছে, বার বার একই ঘটনা ঘটায় এলাকায় বেশ কিছু দোকান চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল সিন্থেটিক সুতো। পাশাপাশি তাদের এলাকায় এ ধরনের সুতো দিয়ে কেউ ঘুড়ি ওড়াচ্ছে কি না,তা-ও নজরে রেখেছে সংশ্লিষ্ট থানা। তার পরেও দেখা যাচ্ছে, রেলিংয়ের গায়ে সিন্থেটিক সুতো জড়ানো।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘কেউ হয়তো নীচে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। কিন্তু তার সুতোয় কোনও মোটরবাইক আরোহীর টান লাগলে ক্ষত খুবই গভীর হবে। ইদানীং অবশ্য দেখা যাচ্ছে, কেটে গেলেও ক্ষত গভীর হচ্ছে না।’’ ওই পুলিশকর্তার বক্তব্য, ‘‘মনে হচ্ছে ঘুড়ির সুতো কেটে উড়ে এসে রেলিংয়ে আটকে থাকছে। তাতেই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy