Advertisement
E-Paper

চাঙ্গা করতেই কি ঘোড়াকে ওষুধ, খুঁজছে পুলিশ

চার বছর আগেও রেস কোর্সের এমনই আর একটি ঘোড়াকে ডোপিং করানোর অভিযোগ উঠেছিল। শেষমেশ অবশ্য সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নির্দিষ্ট কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারেননি তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সে বার রেসে প্রথম হয়েছিল ঘো়ড়াটি। তার পরেই সেটির মালিক এসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘোড়ার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করার অভিযোগ জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৮

সর্বশেষ রেসে অষ্টম স্থান পেয়েছিল ‘ম্যাজিক-ইন দ্য এয়ার’। তার আগের দু’টি রেসে এক বার দশম ও দু’বার পঞ্চম হয়েছিল সে। পুলিশ সূত্রের খবর, দৌড়ে পিছিয়ে পড়া ঘো়ড়াকে চাঙ্গা করতেই ‘ডোপিং’ (শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধের ব্যবহার) করা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজে চলেছেন তদন্তকারীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব অথবা কলকাতা রেস কোর্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। পুলিশ নিজেও ঘোড়াটির শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধের পরীক্ষা করাবে।

ক্লাব সূত্রের খবর, পুলিশকে এই তদন্তে সব রকমের সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে। আপাতত বিশ্রামে রয়েছে ‘ম্যাজিক–ইন দ্য এয়ার’। ডোপিং-বিতর্ক থেকে ছা়ড়পত্র পেলেই তবে ফের ট্র্যাকে নামতে পারবে সে।

চার বছর আগেও রেস কোর্সের এমনই আর একটি ঘোড়াকে ডোপিং করানোর অভিযোগ উঠেছিল। শেষমেশ অবশ্য সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নির্দিষ্ট কোনও সমাধানে পৌঁছতে পারেননি তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সে বার রেসে প্রথম হয়েছিল ঘো়ড়াটি। তার পরেই সেটির মালিক এসে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘোড়ার শরীরে নিষিদ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করার অভিযোগ জানান।

কিন্তু কেন?

পুলিশের ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, ওই ব্যক্তির আর একটি ঘোড়া তারও আগে এক বার ডোপিং-বিতর্কে জড়িয়েছিল। সে জন্য ঘো়ড়া ও মালিক, দু’জনেই শাস্তির মুখে প়়ড়েছিল। তাই সে বার ঘোড়া প্রথম হতেই কোনও ঝুঁকি নেননি তিনি। কিন্তু ডোপিং করেছিল কে?

মুচকি হেসে এক পুলিশ অফিসারের মন্তব্য, ‘‘সেটা ঘো়ড়ার মালিকই বলতে পারতেন।’’ এ বার অবশ্য অভিযোগকারী, ঘোড়ার প্রশিক্ষক প্যাট্রিক কুইন। তাঁর অভিযোগ, রেসকোর্সের এক কর্মী ও এক নিরাপত্তারক্ষী ঘোড়াটির শরীরে ‘বোল্ডেনওয়ান’ নামে এক ধরনের নিষিদ্ধ স্টেরয়েড ঢুকিয়েছেন।

রেস কোর্স সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের জনা বিশেক লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক বা ট্রেনার রয়েছেন। তাঁদের এক-এক জনের জিম্মায় এক বা একাধিক ঘোড়া থাকে। ফলে ঘোড়ার কিছু হলে প্রশিক্ষক বা ট্রেনার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কয়েক মাস আগেই প্যাট্রিক এই ঘোড়াটির দায়িত্ব নিয়েছেন। গত ১৭ জুলাই তাঁর অধীনে দৌড়তে নামে ‘ম্যাজিক-ইন দ্য এয়ার’।

Horse Dope Race Course Police Royal Calcutta Turf Club
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy