Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
police

KMC Elections 2021: প্রচারের অনুমতি পেতে ওসি-র কাছে আবেদন

পুলিশের নোডাল অফিসার, থানার আধিকারিক, থানার সংযোগকারী অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারকে নিয়ে প্রতিটি বরোয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার।

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৭:০১
Share: Save:

কলকাতা পুরসভার ভোটে প্রার্থীর হয়ে প্রচার ও জনসভার আয়োজন করতে হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে ইমেল বা আবেদনপত্র পাঠাবে। ওসি সব দেখে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তার আগে মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসারের কাছে ওসিকে পাঠাতে হবে আবেদনের প্রতিলিপি। এ জন্য পুলিশের নোডাল অফিসার, থানার আধিকারিক, থানার সংযোগকারী অফিসার এবং রিটার্নিং অফিসারকে নিয়ে প্রতিটি বরোয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই ওসিকে ওই আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, এই ব্যবস্থাই বজায় থাকবে, না কি কোনও নতুন অ্যাপ তৈরি হবে, তা সোমবার চূড়ান্ত হবে। তার আগে পর্যন্ত এই পদ্ধতি চালু থাকবে। লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর প্রচার এবং জনসভার অনুমতি নিতে ব্যবহার করা হয় ‘সুবিধা’ অ্যাপ। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ২০১৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে ওই অ্যাপ চালু করেছিল। যা ছিল ভোট প্রচারের অনুমতি নেওয়ার ‘এক জানলা পদ্ধতি’। ওই অ্যাপ থাকার ফলে অনুমতি জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে হয় না। পুর ভোটে সেই সুযোগ না থাকায় অনুমতি নিতে ওসিকেই পাঠাতে হবে। এতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠতে পারে বলে পুলিশেরই একাংশের আশঙ্কা।

অন্য দিকে, ভোট উপলক্ষে কলকাতা পুলিশ প্রতিটি বরোয় এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে। ডিভিশনের ১৬ জন এসি-কে ১৬টি বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি থানায় এক জন করে অফিসারকে ভোটের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শুক্রবার ওই নোডাল অফিসারেরা মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে নিজের এলাকায় থানার অফিসারদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বৈঠক করেছেন। ওই দিনই পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র লালবাজারের অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন।

লালবাজার সূত্রের খবর, প্রতিটি থানাকে কঠোর ভাবে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। কোভিড-বিধিও মেনে চলতে বলা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে প্রার্থীরা মিছিল করে যেতে পারবেন না। প্রার্থীর সঙ্গে শুধু দু’টি গাড়ি থাকবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে রিটার্নিং অফিসারের ঘরে প্রার্থীর সঙ্গে দু’জন থাকতে পারবেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে পাঁচ জনের বেশি থাকা যাবে না বলা হলেও শনিবারই অবশ্য দেখা গিয়েছে অনেক বেশি সমর্থককে।

এক পুলিশকর্তা জানান, প্রতিটি থানা কত অস্ত্র উদ্ধার করেছে কিংবা জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা ক’টি কার্যকর করেছে, বৃহস্পতিবার থেকেই তার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো শুরু হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার-সহ প্রত্যেক থানার ডিসি-কে ওই দৈনন্দিন রিপোর্ট দিতে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE