Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মাঠ থেকে উদ্ধার অসুস্থ বৃদ্ধকে

খবর পেয়ে সোমবার হাসপাতালে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃদ্ধকে।

বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র

বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৪
Share: Save:

অবসরের পরেও অফিসে যাতায়াত ছিল কাজপাগল বৃদ্ধ মানুষটির। গত শনিবার, ২ মার্চও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যেরা। নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় বিধাননগর পুলিশের কাছেও। ওই রাতেই সল্টলেকের একটি ব্লকের মাঠে বৃদ্ধকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না তিনি। পরে ওই বৃদ্ধকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সোমবার হাসপাতালে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বৃদ্ধকে।

ঘটনাটি সল্টলেকের এএ ব্লকের। বিধাননগর পুর এলাকার এক কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, শনিবার রাত আটটা নাগাদ ওই ব্লকের মাঠে এক বৃদ্ধকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তিনি নিজের পরিচয় বলতে পারছিলেন না। পুলিশে খবর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নির্মলবাবু তাঁর ফেসবুক পেজেও খবরটি দেন।

সোমবার বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এসে তাঁর খোঁজ পান। জানা যায়, বৃদ্ধের নাম গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বাড়ি কেষ্টপুরে। গোবিন্দবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর বাবা কাজপাগল মানুষ। অবসরের পরেও মাঝেমধ্যে অফিসে যাতায়াত করতেন। তবে বাড়ির লোকজন জানতেন, গোবিন্দবাবু কোথাও গেলেও কেষ্টপুর থেকে সল্টলেকের মধ্যেই থাকবেন। গত শনিবারও তাই হয়েছিল। সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন গোবিন্দবাবু। কিন্তু সরকারি অফিস ছুটি থাকায় করুণাময়ী মোড়ের কাছে সরস মেলায় গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন প্রসেনজিৎরা। কিন্তু তার পরে আর খোঁজ মিলছিল না। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘বাবার চিকিৎসা চলছিল। কেন তিনি নিজের নাম-ঠিকানা ভুলে যাচ্ছেন, তার চিকিৎসা করানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Salt Lake Old man সল্ট লেক
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE