নাকা তল্লাশিতে উদ্ধার ২২ লক্ষ

ভোটের আগে ফের টাকা উদ্ধার। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দুপুরে ভিআইপি রোডের লেক টাউন ও বাগুইআটি এলাকায় দু’টি গাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে একটি গাড়ির চালককে। আটক করা হয়েছে চার জনকে।

পুলিশ জানায়, সোমবার মধ্যরাতে নাকা তল্লাশির সময়ে দিল্লির নম্বর প্লেট লাগানো একটি সাদা রঙের সেডান গাড়ির ভিতরে রাখা ব্যাগ থেকে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪০ টাকা মেলে। তার মধ্যে ১০ ও ৫০ টাকার নোটই ছিল বেশি। গাড়ি থেকে দিল্লির বাসিন্দা তিন আরোহীকে আটক করা হয়। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় চালককে। ধৃতের নাম সেলিম।

পরের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ, ভিআইপি রোডের বাগুইআটি থানা এলাকায়। পুলিশ একটি লাল রঙের মার্সিডিস বেন্জ় আটকালে ভিতর থেকে অ্যাটাচিবন্দি সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। মূলত ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট ছিল। এ ক্ষেত্রেও গাড়ির মালিককে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থানায় ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এক কর্তা জানান, দু’টি ক্ষেত্রেই টাকার উৎস এবং গন্তব্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট জবাব মেলেনি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন এবং আয়কর দফতরকে জানানো হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, দ্বিতীয়

ঘটনায় আটক ব্যক্তির নিজের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর দাবি, ওই টাকা নিয়ে বাদুতে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সেই টাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত নথি দেখাতে পারেননি সেই ব্যবসায়ী।

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগসূত্র মেলেনি। পুলিশকর্তারা জানান, নির্দিষ্ট সময়ে বা নির্দিষ্ট জায়গায় নাকা

তল্লাশি নয়, তার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় আচমকা নাকা তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনিতে নিশ্চিত ভাবে সন্দেহ হলে তবেই কোনও গাড়িকে আটকানো হয়। কিন্তু এখন যে কোনও গাড়িকেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার জেরেই সাফল্য মিলেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ১০ মার্চ দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে নগদ ও সোনা মিলিয়ে ২১ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। ২০১৪ সালে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্য থেকে প্রায় আট কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল আয়কর দফতর। এ বার এর মধ্যেই তা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর আগে কলকাতা পুলিশও একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে টাকা উদ্ধার করেছে।