Advertisement
E-Paper

নাগরিক-তথ্য সংগ্রহে বাড়িতে যাচ্ছে পুলিশই

সল্টলেকে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বন্ধ করতে পুলিশ একাধিক বার বাসিন্দাদের কাছে আর্জি জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও পরিচারক-পরিচারিকাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের জানানো হোক।

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৯

সল্টলেকে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বন্ধ করতে পুলিশ একাধিক বার বাসিন্দাদের কাছে আর্জি জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও পরিচারক-পরিচারিকাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাদের জানানো হোক। কিন্তু তাতে কান দেননি বাসিন্দাদের একাংশ। তাই, নাগরিক-উদ্যোগের উপরে ভরসা না রেখে এ বার পুলিশ সরাসরি হাজির হচ্ছে প্রতিটি বাড়ির দরজায়। সংগ্রহ করছে পরিবারের ঠিকুজি-কুষ্ঠি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ কাজে নেমে তৈরি করা হয়েছে দু’পাতার একটি খসড়া। সেখানে বাড়ির মালিকের নাম, পরিবারের সদস্য-সংখ্যা, পরিচারক-পরিচারিকা আছেন কি না, থাকলে তাঁদের
নাম, কত দিন ধরে কাজ করছেন— সব বিস্তারিত লিখতে হবে।
বাড়িতে ভাড়াটে থাকলে তাঁদের খুঁটিনাটিও লিখতে হবে খসড়ায়। একই সঙ্গে ভাড়াটে ও পরিচারক-পরিচারিকা, যাঁরা আদতে সল্টলেকের বাসিন্দা নন, তাঁদের সচিত্র পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি পুলিশকে দিতে হবে। সমস্ত তথ্য লেখার পরে বাড়ির মালিককে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে তা জমা দিতে হবে।

বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ বলেন, ‘‘কমিশনারেটের অধীনে ন’টি থানা এলাকার বাসিন্দাদের থেকে তথ্য নিয়ে তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে। সেই তথ্য থাকবে সব থানার নিজস্ব কম্পিউটারে।’’ গৃহস্থ বাড়ি ছাড়াও বিধাননগরের হোটেল, গেস্ট হাউস, দোকান এবং সেগুলির মালিক ও কর্মীদের নাম থাকবে পুলিশের এই তথ্যভাণ্ডারে।

সল্টলেকে অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে বাসিন্দাদের কাছে পুলিশের তথ্য চাওয়া অবশ্য নতুন নয়। গত ১০ বছর ধরে তারা এই আর্জি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এর পরেও বাসিন্দাদের একাংশ এতে সাড়া দেননি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কেন? বাসিন্দাদের একটি সংগঠন, সল্টলেক ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘পরিচারক-পরিচারিকাদের কাছে ছবি চাইলে তাঁরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। পাছে তাঁরা ছেড়ে দেন, সেই ভয়ে বাসিন্দারাও তাঁদের বেশি ঘাঁটান না। এ বার পুলিশই যখন উদ্যোগী হয়ে বাড়িতে আসছে, আশা করব সবাই তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।’’

পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার পাশাপাশি বিধাননগরের নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতি ব্লকে এক জন পুলিশ অফিসারকে বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় সিসিটিভি বসানোর প্রয়োজন আছে, তাঁরাই বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তা ঠিক করবেন।

police citizen information
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy