E-Paper

ব্যবসায়ীকে খুনে এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিডিও-যোগ

সূত্রের খবর,অভিযোগ হওয়ার পরে তদন্তে নেমে পুলিশ সল্টলেক ও নিউ টাউনের একাধিক জায়গা থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা তিনেই আটকে রইল। এখনওসোনা ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার অপহরণ ও খুনের ঘটনায় নাম জড়ালেও পুলিশের তরফে এখনও জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের বিডিও-র বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্ত চলছে। ঘটনায় বিডিও-র যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও অভিযোগের ১৭ দিন পার করেও সেই যোগসূত্র কতটা, সেই বিষয়ে সরকারি ভাবে পুলিশ কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর,অভিযোগ হওয়ার পরে তদন্তে নেমে পুলিশ সল্টলেক ও নিউ টাউনের একাধিক জায়গা থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এমনকি, নিউ টাউনের যে বাড়িতে সোনা ব্যবসায়ীকেনিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে, সম্প্রতি তার ভিতরের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ তদন্তকারীদেরহাতে এসেছে। এ বার দত্তাবাদের যে দোকান থেকে সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগউঠেছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলেছে বলে পুলিশের একটি সূত্রের দাবি। যেখানে অভিযুক্ত ওই বিডিয়োর অবস্থান, ভূমিকা-সহঘটনায় তাঁর যোগসূত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকা থেকে সোনা ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবারের তরফে অপহরণ, খুন-সহ একাধিক অভিযোগতোলা হয়েছিল। যেখানে ওই বিডিও-র নাম জড়িয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত রাজু ঢালি, তুফান থাপা এবং তৃণমূল নেতা সজল সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনএলাকায় গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন ওই বিডিও। যে বাড়ির দোকানে ব্যবসা চালাতেন স্বপন, তার মালিকগোবিন্দ বাগ সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেছিলেন, ওই বিডিও লোকজন-সহ দু’টি গাড়ি নিয়েহাজির হয়েছিলেন দত্তাবাদে। তাঁকে এবং স্বপনকে একটি গাড়িতেবসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ টাউনের একটি বাড়িতে। নিউ টাউনে ওইবাড়ির সামনে থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি গোবিন্দর। কিন্তু স্বপনকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

যদিও শুরু থেকেই বিডিও সে সব খারিজ করে জানিয়েছিলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরকোনও সোনা চুরি হয়নি। তিনি কলকাতায় কিংবা দাঁতন এলাকায় যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, গোটাঘটনার আগের ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগৃহীত হয়েছে।তা থেকে অভিযুক্তদের গতিবিধি, অবস্থান ও ভূমিকা সম্পর্কে তথ্য মিলেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

New Town

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy