Advertisement
E-Paper

ভস্মস্তূপ থেকে মাথা তুলছে ভোট-রাজনীতি

বিজেপি বলছে, তৃণমূলের চক্রান্ত। আর তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ঝুপড়ি গজিয়ে ওঠা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন। ই এম বাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে লাগা আগুনের আঁচ পুর-নির্বাচনের আগে এ ভাবেই বাড়িয়ে দিচ্ছে শহুরে রাজনীতির উত্তাপ। বুধবার রাতে ই এম বাইপাসের ধারে ফুলবাগানের কাছে আগুনে পুড়ে যায় গোটা চল্লিশেক ঝুপড়ি। কেউ তা পুড়িয়ে দিয়েছে, না ঝুপড়িতে রান্নার আগুনে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০০

বিজেপি বলছে, তৃণমূলের চক্রান্ত।

আর তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ঝুপড়ি গজিয়ে ওঠা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন। ই এম বাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে লাগা আগুনের আঁচ পুর-নির্বাচনের আগে এ ভাবেই বাড়িয়ে দিচ্ছে শহুরে রাজনীতির উত্তাপ।

বুধবার রাতে ই এম বাইপাসের ধারে ফুলবাগানের কাছে আগুনে পুড়ে যায় গোটা চল্লিশেক ঝুপড়ি। কেউ তা পুড়িয়ে দিয়েছে, না ঝুপড়িতে রান্নার আগুনে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তার মধ্যেই সেখানে হাজির রাজ্যের দুই যুধুধান দল, তৃণমূল এবং বিজেপি। ওই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের। যা শুনে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া “মনে হচ্ছে বাঁদরের হাতে তলোয়ার দেওয়া হয়েছে।” এর মধ্যে শহরে যত্রতত্র ঝুপড়ি তৈরি হওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে বিতর্কে মাত্রা চড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যেরই মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। ই এম বাইপাসের মতো রাস্তার ধারে ওই সব ঝুপড়ি কী ভাবে গড়ে উঠল, তা নিয়েই সরব হয়েছিলেন সাধনবাবু। খোদ মন্ত্রীর মুখে সরকার-বিরোধী মন্তব্যে শোরগোল পড়ে সর্বত্রই। এ দিনও তাঁর বক্তব্যে সেই ঝাঁঝ অব্যাহত ছিল। ওই এলাকায় গিয়ে তিনি বলেন, “সরকার এক দিকে শহরে সৌন্দর্যায়নের কাজ করছে। গঙ্গাতীরকে সাজিয়ে তুলছে। অন্য দিকে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ধারে এ ভাবে ঝুপড়ি বসছে।” পুলিশ একটু সক্রিয় হলে এ সব বন্ধ করা সহজ বলে তিনি মনে করেন। অন্যথায় পার্ক স্ট্রিটের মতো রাস্তাও এক সময়ে ঝুপড়িতে ভরে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন সাধনবাবু। দলের মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের পরে তার কোনও জবাব দেননি মেয়র।

অন্য দিকে, বিজেপি নেতা রাহুলবাবু অবশ্য ওই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই ঝুপড়ির বাসিন্দারা গত ৩০ নভেম্বর ধর্মতলায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় যোগ দিয়েছিলেন বলেই তৃণমূল প্রতিশোধ নিতে ওই সব ঝুপড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ওই ঝুপড়ি বিজেপি-র সাংগঠনিক কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার মধ্যে পড়ে। কয়েক মাস ধরেই ওখানে বিজেপি-র সংগঠন জোরালো হয়েছে বলে রাহুলবাবুর দাবি। তাঁর আশ্বাস, ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আপাতত থাকার জন্য সাময়িক ভাবে শেড তৈরি করে দেবে বিজেপি।

তবে রাহুলবাবুর বক্তব্য বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে মনে করেন শোভনবাবু। তাঁর কথায়, “গরিব মানুষের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘৃৃণ্য কাজ এ রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক দলই করতে পারে না। একটা দলের রাজ্য সভাপতি হয়ে রাহুলবাবু এ কথা কী ভাবে বলেন, তা ভাবতেও পারছি না।”

bjp em bypass tmc Political leaders withdraw hand fulbagan shack fire death head kolkata news online news
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy