Advertisement
E-Paper

বাজি পরীক্ষায় বিচার্য শুধুই শব্দমাত্রা

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের পরে এই পরীক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। ভবিষ্যতে বায়ুদূষণ মাপার বিষয়টিও বাজি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৫
বাজি-বিচার: টালা ময়দানে বাজি পরীক্ষা। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ

বাজি-বিচার: টালা ময়দানে বাজি পরীক্ষা। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১১। মার্কশিট বলছে, পাশ করেছে ৭, ফেল ৪ জন। সোমবার টালা ময়দানে হওয়া বাজি পরীক্ষার এটাই চূড়ান্ত ফলাফল। তবে এই পরীক্ষা নেহাতই শব্দমাত্রার বিচারে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে দূষিত বাজির বিচারে ধোঁয়ার গুণাগুণও বিচার্য হয়েছে। কিন্তু এ বছরের বাজি পরীক্ষায় সে দিকটি বিচার করা হয়নি।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশের পরে এই পরীক্ষার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। ভবিষ্যতে বায়ুদূষণ মাপার বিষয়টিও বাজি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

উদ্যোক্তারা জানান, বাজি পরীক্ষায় এ দিন পাশ করেছে ‘সিলভার ট্রি’, ‘ফাউন্টেন’-এর মতো বাজি। কিন্তু ফেল করেছে জিগ জ্যাগ, বাস্টারস, মেগা শট শেল বাজি। এই সব বাজি ৯০ ডেসিবেলের থেকে বেশি শব্দমাত্রায় ফাটে। এর আগেই নিষিদ্ধ বাজির তালিকায় ১০১টি বাজি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ দিন পরীক্ষার সময়ে বাজি বাজারের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) সৌম্য রায় এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা ছিলেন। বাজি নির্মাতাদেরই একাংশ বলছেন, ‘শেল’ বাজি ইদানীং ত্রাস হয়ে উঠেছে। নিশুত রাতে ওই বাজির শব্দ বহু দূর পর্যন্ত ছ়ড়ায়।

শব্দবাজি না হয় এ ভাবে আটকানো গেল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সার্বিক ভাবে আতসবাজির বিপদ এবং আদালতের নির্দেশিকা মানুষকে মানতে বাধ্য করা হবে কী ভাবে? লালবাজারের খবর, লাইসেন্সহীন বাজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট, পোস্টার ছড়ানো হবে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে পুলিশের যে এলই়ডি স্ক্রিন রয়েছে, সেখানেও এ ব্যাপারে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে।

বাজি পরীক্ষা হয়ে গেলেও শহরের সব থেকে পুরনো বাজি বাজারের ভবিষ্যতের উপরে এখনও প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শহিদ মিনার ময়দানে বাজি বাজার করার অনুমতি সেনাবাহিনী দেয়নি। তার ফলে শহরে কয়েকটি বিকল্প জায়গা দেখা হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ পার্ক এবং ম্যাডক্স স্কোয়ারের মধ্যে যে কোনও একটি জায়গায় বাজার বসতে পারে। কিন্তু কোথায় হবে, তা সোমবার রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ, মঙ্গলবার বাজি বাজারের নতুন জায়গা চূড়ান্ত হতে পারে।

Pollution Control Board Fire Cracker Test Sound Decibel
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy