গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদের নির্বাচনী পারদ চড়তে শুরু করেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন। তার পরেই ছাত্রসংগঠনগুলির তরফে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১৪ নভেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে প্রেসিডেন্সিতে।
শেষ বার ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাস। সরকার এবং তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে একাংশের পড়ুয়াদের মধ্যে। অন্য দিকে, বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়াদের আন্দোলনের ধরন নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করতে ছাড়েনি টিএমসি। এ বার লড়াইয়ে থাকতে চায় গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-ও।
ফলে প্রেসিডেন্সির ছাত্র ইউনিয়ন দখল নিতে লড়াই জমজমাট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ওই সময় যাতে কোনও গোলমাল না হয়, সে বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে উচ্চশিক্ষা সংসদ।এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “প্রেসিডেন্সিতে তৃণমূল বা বিজেপির কোনও প্রভাব নেই। আমারা ছাত্রছাত্রীদের দাবি নিয়ে ভোটে লড়ব।”
টিএমসিপি-সহ সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল অবশ্য প্রেসিডেন্সির নির্বাচন নিয়ে বেশি শব্দ খরচ করতে চাননি। তাঁর স্পষ্ট কথা: “প্রার্থী দেব কি না, তা আলোচনাসাপেক্ষ।”
তবে, এবিভিপি-র তরফে সুবীর হালদার বলেন, “আমরা প্রার্থী দেব। এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেব।”
আরও পড়ুন: প্রথমে হাতে গুলি, এর পরেই দ্বিতীয় গুলি ফুঁড়ে দেয় গলা, পালাতে গিয়েও ব্যর্থ দেবাঞ্জন
আরও পড়ুন: বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের, খুন বীরভূমের সিপিএম নেতা!
আপাতত রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যাদের অধীনে কোনও কলেজ নেই) ছাত্র নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ছাত্র ইউনিয়ন বা কাউন্সিল তৈরির জন্য যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, ভোটের দিনক্ষণ ও নিয়মবিধি ওই চার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই স্থির করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy