Advertisement
২৪ মে ২০২৪

হাসপাতাল থেকে ‘নিখোঁজ’ বন্দি

খুনের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত, বিচারাধীন এক বন্দি নিখোঁজ হয়ে গেল এমআর বাঙুর হাসপাতাল থেকে। পুলিশের অবশ্য সন্দেহ, পালিয়ে গিয়েছে ওই বন্দি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে। পুলিশ জানায়, সফিকুল নামে ওই বন্দি মালদহের রতুয়া এলাকার বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩৩
Share: Save:

খুনের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত, বিচারাধীন এক বন্দি নিখোঁজ হয়ে গেল এমআর বাঙুর হাসপাতাল থেকে। পুলিশের অবশ্য সন্দেহ, পালিয়ে গিয়েছে ওই বন্দি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে। পুলিশ জানায়, সফিকুল নামে ওই বন্দি মালদহের রতুয়া এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও নিয়ম অনুযায়ী কোনও পুলিশি প্রহরা ছিল না। পাহারায় ছিলেন কেবল জেলের দুই কর্মী।

খুনের চেষ্টার অপরাধে ধৃত সফিকুল পুলিশি হেফাজতে থাকার পরে বেশ কিছু দিন মালদহ সংশোধনাগারে ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে শুক্রবার তাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাকে ভর্তি করা হয় বাঙুরে। কারা দফতর সূত্রে খবর, সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, পুলিশ সেল-এ কোনও শয্যা ফাঁকা নেই। তাই ওই বন্দিকে অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।

কিন্তু সফিকুলের জন্য পুলিশি প্রহরা চাওয়া হল না কেন? কারা দফতরের যুক্তি, শনিবার সকালে সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে লালবাজারে পুলিশ পাহারার জন্য আবেদন করা হত। তার আগেই অবশ্য সফিকুল বেপাত্তা হয়ে যায়। কিন্তু জেলের দুই কর্মী পাহারায় থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তদন্ত করছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে সফিকুলের পরিবারের দাবি, শুক্রবার আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু জামিন পাওয়া সত্ত্বেও কেন সে পালিয়ে গেল? তাঁদের যুক্তি, কিছু দিন ধরেই সফিকুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। পুলিশের বক্তব্য, সফিকুল ধরা পড়লে তাকে ফের জেলে যেতে হবে ও নতুন করে জামিনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে।

লকআপ থেকে পালানো বন্দি ধৃত। প্রায় একমাস পরে‌ দিল্লি থেকে ধরা পড়ল হাওড়ায় লকআপ থেকে পালানো আসামী রহিম আলি ওরফে লালা। গত ২৫ অগস্ট হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার খোলা লকআপ থেকে পালিয়েছিল বিভিন্ন ডাকাতির অভিযোগে ধৃত লালা। ওই ঘটনায় সাসপেণ্ডও করা হয় থানার একজন কনস্টেবলকে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, একমাস ধরে ওই দুষ্কৃতীর গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দিল্লির কালকান্ডি এলাকা থেকে সেখানকার পুলিশের সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতকে দিল্লি থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় আনা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, লকআপ থেকে পালানোর পরে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল সে। পরে সেখান থেকে বিহার হয়ে দিল্লিতে এক মাসির কাছে আশ্রয় নেয়। পুলিশ জানায়, এর পরে দুবাই পালানোর মতলব করেছিল লালা। এ জন্য টাকাও জোগাড় করছিল। সেই সূত্র ধরেই ওর এক বান্ধবীকে অনুসরণ করে পুলিশ দিল্লি পৌঁছে যায়। ক’দিন অপেক্ষার পরে একদিন লালা এটিএমে টাকা তুলতে এলে পুলিশ তাকে ধরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prisoner Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE