রাস্তায় পুলিশি নির্যাতন এবং যথেচ্ছ জরিমানার অভিযোগ নিয়ে সোমবার কসবায় পরিবহণ দফতরের ডাকা বৈঠকে সরব হলেন বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। একাধিক সমস্যা ও দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে ‘বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ বাঁচাও কমিটি’ ২২ থেকে ২৪ মে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ওই ধর্মঘটের প্রেক্ষিত ছাড়াও অন্যান্য বাসমালিক সংগঠনের সমস্যার কথা শুনতে এ দিন পরিবহণ ভবনে বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পরিবহণ দফতরের অধিকর্তা-সহ একাধিক আধিকারিক। কিন্তু, বৈঠকে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কোনও আধিকারিক না থাকায় ধর্মঘটে অনড় থাকার কথা জানান একাধিক বাসমালিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ বাঁচাও কমিটি’র নেতৃত্ব। তবে বৈঠকে উপস্থিত অন্য একটি মঞ্চ, ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ট্রান্সপোর্ট অপারেটর্স’-এর প্রতিনিধিরা জরিমানা এবং পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরব হলেও বাস ধর্মঘটের পক্ষপাতী নন বলে জানিয়েছেন।
দুপুরের এই বৈঠকে বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ বাঁচাও কমিটির তরফে ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’ এবং ‘বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদকেরা পুলিশকর্তাদের উপস্থিতির দাবি তোলেন। বৈঠকে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সন্ধ্যায় ফের বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহন। সেখানেও পুলিশি জরিমানা এবং অন্যান্য সমস্যা নিয়ে অনড় অবস্থান নেন বেসরকারি গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটির নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে ওই মঞ্চের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘রাস্তায় পুলিশি নির্যাতন এবং জরিমানা নিয়ে যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা চলতে থাকলে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ওই সমস্যা যাঁদের জানানো দরকার ছিল, তাঁরা হাজির না থাকলে বৈঠকের অর্থ কী? সেই জন্যই আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকছি।’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে আজ, মঙ্গলবার ফের আর এন মুখার্জি রোডের পরিবহণ ভবনে বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে ভিডিয়ো মাধ্যমে হাজির থাকতে পারেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকেরা। এ দিন বাসমালিক সংগঠনের অন্য মঞ্চের পক্ষে ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘আমরা যথেচ্ছ জরিমানা করার বিরুদ্ধে। তবে, ধর্মঘটের পক্ষপাতী নই।’’ পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বাসমালিকদের সমস্যা মেটাতে সরকার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মঘট উঠে যাওয়া নিয়ে তারা আশাবাদী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)