নির্মাণস্থলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, এ বার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার প্রচার শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। কারণ, নির্মাণস্থলের দূষণের জন্য ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এমনকি, বায়ুদূষণ রোধে ‘ব্যর্থ’ হওয়ার কারণে গত মঙ্গলবারই রাজ্যকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে নির্মাণস্থলের দূষণকেই দায়ী করেছে আদালত। সেই জরিমানার পরেই রাজ্যের পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছে পুর প্রশাসনও।
দূষণ আটকাতে পুর প্রশাসন ইতিমধ্যেই কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা রিপোর্ট আকারে নবান্নে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অন্য দিকে,
ইমারতি দ্রব্য থেকে ছড়ানো দূষণ রোধে কী কী করণীয়, তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু করতে চাইছে পুর প্রশাসন। বালি, সিমেন্ট-সহ ইমারতি দ্রব্য ঢেকে রাখা, রং করার সময়ে নির্মাণস্থলে আবরণ দেওয়ার মতো নির্দেশিকা প্রচার আকারে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এক পদস্থ পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘অনেকে জানেনই না নির্মাণস্থলে দূষণ রোধে কী কী করতে হবে। প্রচারের পরে নির্দেশিকা না মানা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কিন্তু পুর প্রশাসনের একাংশেরই প্রশ্ন, জনসচেতনতা বাড়ানোর কথা কেন এক বছর পরে মনে হল পুর কর্তৃপক্ষের! কারণ, নির্মাণস্থলের দূষণে নজরদারি চালানোর জন্য গত বছরের শেষেই পুরসভার সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিল পরিবেশ দফতর। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে সে সময়ে জারি করা নির্দেশিকায় শহরের ধূলো-দূষণ কমানোর জন্য বালি, সিমেন্ট-সহ ইমারতি সামগ্রী ঢেকে রাখা, লরিতে ওই সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময়ে তা ঢেকে রাখা-সহ এক গুচ্ছ পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘোরার পরে এটা পরিষ্কার, নির্মাণস্থলের দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘নির্মাণস্থলে দূষণ রোধে সকলে সচেতন নন, এটা বুঝতে এক বছর সময় লাগল! সচেতনতা নেই বলেই তো গত বছর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।’’
প্রসঙ্গত, দূষণ রোধে পুরসভা কী করেছে, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রতিটি দফতর আলাদা আলাদা করে তৈরি করছে। সেই তথ্যই একত্র করে রিপোর্ট আকারে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy