Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Education System

পাঠ্যক্রম শেষ করতে পুজোর ছুটিতে স্কুল খোলা রাখার প্রস্তাব

বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতে, পুজোর ছুটির মধ্যে অল্প কয়েক দিনের জন্য স্কুলের দরজা খোলা রাখতে গেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন।

An image of students

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর্যভট্ট খান
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৩৯
Share: Save:

দীর্ঘ দু’মাসের গরমের ছুটি। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কয়েক দিনের অতিরিক্ত ছুটি। সব মিলিয়ে এ বছর বেশ কিছু স্কুল পাঠ্যক্রম শেষ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তার মধ্যে আবার পুজো দেরিতে হওয়ায় পুজোর ছুটিও পড়ছে দেরি করে। ফলে, ছুটির শেষে স্কুল খুলতে না খুলতেই তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বা ফাইনাল পরীক্ষার সময় এসে যাচ্ছে। এ ছাড়াও রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। যার জন্য বিভিন্ন ক্লাসের পাঠ্যক্রম আদৌ শেষ হবে কি না, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছে কিছু স্কুল। তাই পাঠ্যক্রম দ্রুত শেষ করার জন্য লক্ষ্মীপুজো এবং কালীপুজোর মাঝে দিন সাতেকের জন্য স্কুল খোলার কথা বলছেন কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। তবে এর জন্য মধ্যশিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তাঁরা।

যেমন, হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত জানাচ্ছেন, পুজোর ছুটির পরে স্কুল খুলছে ১৬ নভেম্বর নাগাদ। তার পরে বেশির ভাগ স্কুলেই ১৭ নভেম্বর থেকে তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা। কারণ, সে ভাবেই পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পাশাপাশি, নভেম্বরেই হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট। ফলে দীর্ঘ পুজোর ছুটি কাটানোর পরে স্কুল খুলতে না খুলতেই পরীক্ষা হলে পড়ুয়াদের প্রস্তুতি কতটা থাকবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান শিক্ষকেরা। পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। শুভ্রজিৎ বলেন, ‘‘এ জন্য আবেদন করছি, লক্ষ্মীপুজো বা কালীপুজোর মধ্যে যে ১৫ দিন সময় রয়েছে, তার মধ্যে যদি অন্তত এক সপ্তাহের জন্য স্কুল খুলে রাখা যায়। কিন্তু স্কুলের দরজা খুলতে গেলে দরকার পর্ষদের নির্দেশিকা।’’

বাঙুরের নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, বছরে ৬৫ দিন ছুটি পাওয়া যায়। তাঁদের স্কুলের ওই ৬৫ দিনের ছুটি এমন ভাবে ভাগ করা হয়েছে যে, লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজোর মধ্যে সাত-আট দিন স্কুল খুললেও বছরের মোট ছুটির সংখ্যা বাড়বে না। সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবার থেকে বেশ কিছু পড়ুয়া আসে। গৃহশিক্ষকদের কাছে পড়ার সামর্থ্য তাদের নেই। স্কুলের পড়াশোনার উপরেই তারা নির্ভর করে। ফলে পুজোর পরেই স্কুল খুলে পরীক্ষা শুরু হলে ওদের প্রস্তুতিতে খামতি থেকে যেতে পারে।’’

তবে বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মতে, পুজোর ছুটির মধ্যে অল্প কয়েক দিনের জন্য স্কুলের দরজা খোলা রাখতে গেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন। না-হলে মুষ্টিমেয় স্কুল নিজেদের উদ্যোগে এমন পরিকল্পনা করলেও বেশির ভাগ স্কুলই তাতে রাজি হবে না। শিক্ষকেরাও স্কুলে আসতে চাইবেন না। কারণ, অনেকেই পুজোর ছুটিতে আগে থেকে পরিকল্পনা করে বেড়াতে যান।

তবে লক্ষ্মীপুজো ও কালীপুজোর মধ্যে স্কুল দিন সাতেকের জন্য খোলার কোনও পরিকল্পনা এখনও হয়নি বলেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই বছর নানা কারণে স্কুলে বেশ কিছু দিন লম্বা ছুটি ছিল। পুজোর নির্ধারিত ছুটির মধ্যে ক্লাস হলে আখেরে সুবিধাই হবে পড়ুয়াদের। কিছু কিছু শিক্ষক সেই প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে এখনও এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Syllabus Durga Puja 2023 Durga Puja Vacation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE