বিল না দিয়ে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার অভিযোগে লিলুয়ার বামনগাছি শ্রীঅরবিন্দ হাইস্কুলে সোমবার বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার টেস্ট পরীক্ষা চলার সময় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৩০ জন পড়ুয়াকে স্কুল থেকে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, শনিবারের মধ্যে ৪০০ টাকা জমা দিতে হবে। শনিবার অভিভাবকেরা স্কুলে এসে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, অন্য স্কুলে ফর্ম জমা বাবদ ১৭০ টাকা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য ৩০ টাকা অর্থাৎ মোট ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সেখানে তাঁরা ৪০০ টাকা দেবেন কেন? অভিযোগ, স্কুল কতৃর্পক্ষ তার জবাব দেননি। উল্টে পড়ুয়াদের ‘ভবিষ্যৎ অন্ধকার’ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ইতিহাস পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্র ও অভিভাবকরাও। এক পরীক্ষার্থীর মা বলেন, ‘‘টাকা দিলেও স্কুল বিল দেবে না বলেছে।’’ রজত দাস নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে ওঠার পরে স্কুলের পক্ষ থেকে ভর্তির জন্য ৯৭০ টাকা নিয়ে ২৪০ টাকার রসিদ দেওয়া হয়েছিল।’’
অভিযোগ উড়িয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ছাত্রেরা পাখার ব্লেড বাঁকিয়ে দেয়, চেয়ার ভেঙে দেয়, শৌচাগারের পাখা উপড়ে ফেলে। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। এর টাকা আসবে কোথা থেকে? তাই মাত্র ১০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে বলা হয়েছে।’’
কিন্তু সব ছাত্র তো স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করে না। সে ক্ষেত্রে সকলে টাকা দেবে কেন? বিশ্বজিৎবাবুর যুক্তি, ‘‘কে বা কারা ভাঙছে তা তো আমরা জানিনা। তাই সব পড়ুয়ার থেকে সাহায্য বাবদ টাকা নেওয়া হয়।’’
স্কুলের যুক্তি, পরীক্ষায় বসার জন্য ২০০ টাকা ছাড়াও পড়ুয়াদের থেকে সরস্বতী পুজোর জন্য ৬০ টাকা ও কাগজপত্র জেরক্সের জন্য ৪০ টাকা নেওয়া হয়। এমনিতেই মোট ৩০০ টাকা জমা দিতেই হবে। সেই সঙ্গে স্কুলে উন্নতির জন্য ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যদেব দে-র বক্তব্য, টেস্টে অকৃতকার্য হওয়ার ভয়ে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা এই সব কাণ্ড করছেন।