আজ পঞ্চমী। বুধবার, চতুর্থীর সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ারে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বনাথ বণিক।
চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই মহানগরের রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। ব্যতিক্রম নয় বিধাননগর থেকে নিউ টাউনও। তাই কলকাতার ধাঁচে বুধবার থেকেই যান নিয়ন্ত্রণে পথে নেমে পড়ল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ আগেও চতুর্থী থেকে নিয়ন্ত্রণের কাজে পথে নেমেছে। কিন্তু বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম এলাকায় তেমনটা ছিল না। কিন্তু গত কয়েক বছরে পুজোর মুখে ভিআইপি রোড, সল্টলেক, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকা, রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে-সহ বিভিন্ন রাস্তায় যানজট ক্রমশ বেড়েছে। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে এ দিন থেকেই ভি়়ড় ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে দিল বিধাননগর পুলিশ।
তবে এ বার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নজরদারিরও রকমারি পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। এ দিন কমিশনারেটের সদর দফতরে পুজো গাইড প্রকাশ করেছে বিধাননগর পুলিশ। পরে বিধাননগরের ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ জানান, ১৫০০ জন পুলিশকর্মীর পাশাপাশি সিভিক পুলিশকেও পথে নামানো হচ্ছে।
পাশাপাশি, নজরদারিতে এ বারের অস্ত্র সদ্য হিডকো থেকে পাওয়া ড্রোন। প্রয়োজনে সেই ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হবে। এ ছাড়াও বম্ব স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইভটিজিং রুখতে সাদা পোশাকে পুলিশবাহিনীও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শপিং মল এলাকা ও যে সব পুজো মণ্ডপে জনসমাগম বেশি সে সব জায়গায়।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই পথে নেমেছে পুলিশ। বিশেষত, ভিআইপি রোডের ধারে বেশ কয়েকটি বড় পুজোকে ঘিরে মানুষের ঢল নেমেছে। ফলে গাড়ির গতি কমেছে। মঙ্গলবার রাতেও ভিআইপি রোডে যানজট ছড়িয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে রাত গড়িয়ে যায়।
তবে শুধু ভিআইপি রোডের ধারেই নয়, বেশ কয়েকটি পুজোকে ঘিরে ট্রাফিক পরিকল্পনা সাজিয়েছে পুলিশ। কোথায় কোথায় পার্কিং লট থাকছে আর কোথায় থাকছে না, সে সব পথ নির্দেশিকা থাকবে। কয়েকটি রাস্তা বন্ধ এবং কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘ওয়ান ওয়ে’ করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে উল্টোডাঙা থেকে ভিআইপি রোড, সল্টলেকের একাধিক প্রবেশপথে যানজট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। এক পুলিশকর্তার কথায়, উল্টোডাঙা স্টেশন, ই এম বাইপাস থেকে সল্টলেক, নিউটাউন এবং দক্ষিণ দমদম, দমদম এলাকায় ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।
তবে শুধুমাত্র যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কিংবা জনসমাগম বেশি, এমন জায়গায় নজরদারি বাড়ানোই নয়, তার বাইরেও নজরদারি নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। বিশেষত, রাজারহাট এক্সপ্রেসওয়ে, নিউ টাউন, সল্টলেকের বিভিন্ন ফাঁকা রাস্তা, ব্লকের ভিতরের রাস্তাগুলিকে এ বার নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। অনেক সময়ে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ছে ব্লকগুলিতে। পাশাপাশি ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া যান চলাচলকে নিয়ন্ত্রণে আনতেও পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হচ্ছে।
তবে এ সবের বাইরেও পানশালা, রেস্তোরাঁগুলির দিকেও বাড়তি নজরদারি চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
এ দিন পুজো গাইড প্রকাশ অনুষ্ঠানে নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব দেবাশিস সেন, পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংহ-সহ শীর্ষ পুলিশকর্তারা হাজির ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy