Advertisement
E-Paper

দক্ষিণের পাড়ায় পুজো

সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। দক্ষিণের কোন পাড়ায় উৎসবের প্রস্তুতি কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। দক্ষিণের কোন পাড়ায় উৎসবের প্রস্তুতি কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৪৮
ম্যাডক্স স্কোয়ার। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য

ম্যাডক্স স্কোয়ার। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য

বালিগঞ্জ কালচারাল

থিমের জোয়ারে গা ভাসাতে আমরা নারাজ। ৬৫তম বছরে আমরা মায়ের মোহময়ী রূপকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। সাবেক প্রতিমার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাঙালির ঐতিহ্য। মণ্ডপ সাজছে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম দিয়ে। সঙ্গে বাহারি আলো। সপ্তমীতে অনুপম রায়ের গানে মাতব সবাই মিলে। প্রতি বছরের মতো মেধাবী পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা দেওয়া হবে।

ম্যাডক্স স্কোয়ার

সাবেক পুজোই আমাদের পরিচয়। সেই ১৯৬০ সাল থেকে একচালা, ডাকের সাজের প্রতিমা হয়ে থাকে। সঙ্গে থাকবে সোনার গয়নার সাজ। কৃষ্ণনগর থেকে আনানো হচ্ছে ডাকের সাজ। নাটমন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপের ছাদে থাকবে ৫০ ফুট লম্বা এবং ১৫ ফুট চওড়া ঝাড়বাতি। পুজোর ৮০তম বর্ষের বিশেষ আকর্ষণ পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আমান আলি খানের সরোদবাদন। পুজোর মাঠে এ বারও জমে উঠবে বিখ্যাত আড্ডা।

বান্ধব সম্মিলনী

৫৮তম বছরে আমাদের থিম ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’। রাস্তার দু’দিকে থাকছে নেপালি ‘প্রেয়ার ফ্ল্যাগ’। মণ্ডপের প্রবেশপথে দু’ধারের দেওয়াল সাজানো হবে থাঙ্কা দিয়ে। থাকবে নানা বৌদ্ধ ভাস্কর্য। এ ছাড়াও প্রবেশপথে থাকবে ধর্মচক্র। ধবলগিরির আদলে তৈরি মন্দিরে অস্ত্রহীন দেবী থাকবেন পদ্মাসনে।

হাজরা উদয়ন

শহর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পাখি ও পতঙ্গ। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ৭০তম বছরে আমাদের থিম ‘প্রকৃতির কোলে বিহঙ্গ’। মণ্ডপে খড় এবং সংগ্রহ করা গাছের ডাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে গাছের সারি। সঙ্গে নানা পাখি। প্রতিমার চালচিত্রেও প্রকৃতির ছোঁয়া। চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রণতি ঠাকুরের পরিচালনায় কচিকাঁচারা করছে শ্রুতিনাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান।

সাহাপুর সর্বজনীন

আমাদের মণ্ডপে লন্ডনের বিখ্যাত টাওয়ার ব্রিজ দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। প্রায় ২০০ ফুট লম্বা হবে ব্রিজটি। নীচে মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হচ্ছে টেমস নদী। বাস্তবের ব্রিজটি জাহাজ চলাচলের জন্য মাঝখান থেকে উপরে উঠে যায় এবং সেই সময়ে বন্ধ থাকে গাড়ি চলাচল। আমরা মোটরের সাহায্যে পুরো প্রক্রিয়াটিই দেখানোর ব্যবস্থা করেছি।

নিউ আলিপুর সর্বজনীন

আমাদের ৬৩তম দুর্গোৎসব পালন করছি মনের মানুষের স্মরণে। সেই অনুযায়ী মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে আখড়ার আদলে। দু’টি মূল আখড়ার একটিতে থাকছে শিল্পী লক্ষ্মণ পালের তৈরি সাবেক প্রতিমা। অন্য আখড়ায় নদিয়া থেকে আসা বাউলেরা দর্শনার্থীদের লোকগান শোনাবেন। এ ছাড়াও থাকছে আরও ১১টি ছোট চালা।

নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব (রায়বাহাদুর রোড)

সভ্যতার নামে মানুষ ধ্বংস করছে প্রকৃতি। তাই আমাদের প্রার্থনা ‘দাও ফিরে সে অরণ্য’। অসম থেকে আনা ছ’রকম বাঁশ দিয়ে সাজবে মণ্ডপ। থাকছে বাঁশের ইনস্টলেশন। সঙ্গে খেজুর পাতার ফুল-পাতা-পাখি। সাবেক প্রতিমার রঙ হবে হলুদ এবং সবুজ। মণ্ডপে বাজবে বাঁশের তৈরি নানা বাদ্যযন্ত্র।

নেতাজি নগর নাগরিকবৃন্দ

আমাদের মণ্ডপ হচ্ছে শ্রেণীকক্ষের আদলে। সেখানে দেখা যাবে, মা দুর্গা তাঁর সন্তানদের পড়াচ্ছেন। মণ্ডপের সামনে দেখা যাবে একটি বিশাল আকারের বই পড়ছে এক পড়ুয়া। প্রবেশপথটি হচ্ছে পেনের আদলে।

জয়শ্রী সর্বজনীন (বেহালা)

৫৯তম বছরে জয়শ্রী সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির থিম সাবেকিয়ানা। মণ্ডপে রাজস্থানি স্থাপত্যকলার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটবে বাঙালি ঐতিহ্যের। বাংলা, রাজস্থান আর গুজরাত— এই তিন রাজ্যের লোকনৃত্য তুলে আনছি আমরা। প্রতিমা শিল্পী রবি সাহা। সমগ্র পরিকল্পনায় ভাস্কর সরকার।

ম্যুর অ্যাভিনিউ পূজা সমিতি

সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের প্রতীক ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মূর্তির মাধ্যমে সবুজ রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে আমাদের মণ্ডপে। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ধ্বংস করে ফেলছে প্রকৃতি। নানা পেন্টিং-ভাস্কর্যের মাধ্যমে বৃষ্টির জল ধরে রাখা, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে উৎসাহিত করা হবে মানুষকে। মাটির প্রতিমায় থাকবে রঙিন শোলার বাহারি অলঙ্কার।

বিবেকানন্দ ইয়ুথ ক্লাব (ঠাকুরপুকুর)

নারী সচেতনতা ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’র অবদান নিয়েই আমাদের ভাবনা ‘বিশ্ব দরবারে কন্যাশ্রী’। পুরুলিয়া গ্রামের পরিবেশ তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে খাপড়া, মাটি, বাঁশ ইত্যাদি। এখানে দুর্গার হাতে কোনও অস্ত্র নেই, আছে সারি সারি প্রদীপ।

বোসপুকুর প্রান্তিক পল্লি

আমাদের মণ্ডপ সেজে উঠেছে আদিবাসী শিল্পকলায়। থাকছে লোকশিল্পের নানা প্রতীকি পশু, পাখি, গাছপালা। বাউল গান থেকে শাঁখ বাজানোর প্রতিযোগিতা— বাদ যাচ্ছে না কিছুই। শিল্পী স্বপন রুদ্রপালের তৈরি সাবেক প্রতিমা মনে করিয়ে দেবে আমাদের চিরন্তন, শাশ্বত একান্নবর্তী দিকটাই।

জয়রামপুর সম্মিলিত সর্বজনীন (বেহালা)

এ বছর আমাদের ভাবনা ‘কড়ি থেকে মুদ্রা’। প্লাইউড দিয়ে প্রাচীন বাড়ির আদলে মণ্ডপ। মৌর্য যুগ থেকে শুরু করে মুঘল ও ব্রিটিশ আমল হয়ে আধুনিক যুগের মুদ্রার ব্যবহার করছি আমরা। মণ্ডপের ছাদে এবং দেওয়ালে ফ্রেমে সাজানো থাকবে মুদ্রাগুলি। সাবেক প্রতিমার চালচিত্র হচ্ছে মুদ্রার আকারে।

সেলিমপুর পল্লি

এ বছরের আমাদের ভাবনা ‘নস্টালজিয়া’। যতই সময় এগিয়েছে ততই বদলেছে বাঙালির এই চিরন্তন পুজোর ভাবনা। তবে যা বদলা‌য়নি, তা হল উৎসবের মেজাজ। পুজোর শাশ্বত রূপ, বারোয়ারি ভাবনাকে এক ঝলক ঘুরে দেখতেই এই প্রয়াস। মণ্ডপের ভিতরে দেখানো হবে পুরনো দিনের পুজোর নানা চিত্র। থাকবে মল্লার ঘোষের আবহসঙ্গীত। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের দেবীবন্দনায় মুখরিত হবে মণ্ডপ চত্বর। শিল্পী জয়ন্ত পালের তৈরি সাবেক প্রতিমা আলাদা মাত্রা যোগ করবে।

বিবেকানন্দ মিলন সঙ্ঘ (বাঘা যতীন)

আমাদের থিম ‘অতল সমুদ্রে মানবজাতির বিচরণ’। মণ্ডপে ঢোকার রাস্তায় থাকছে মাছ, প্রবাল, জলজ উদ্ভিদ-সহ সমুদ্রের নানা দৃশ্য। ক্লাবের ‘আর্ট’ বিভাগের সদস্যরা পেন্টিং, ফ্লেক্স, থার্মোকল দিয়ে এই কাজ করছেন। দেবী থাকছেন ময়ূরপঙ্খী নৌকায়। হাতে থাকছে সাদা পায়রা।

পল্লি উন্নয়ন সমিতি (পশ্চিম পুটিয়ারি)

জগন্নাথের নবকলেবরকে মনে রেখে আমাদের এ বছরের ভাবনা ‘নবকলেবরে মা’। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে জগন্নাথের ছাতা বা ‘ছত্তি’-র আদলে। রঘুনাথপুরের পিপলি শিল্পকলা দিয়ে সাজানো হচ্ছে গোটা মণ্ডপ। থাকছে অ্যাপ্লিকের কাজও। শিল্পী ইন্দ্রনাথ পালের হাতে তৈরি হচ্ছে পিপলি ধাঁচেরই প্রতিমা।

কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘ

সবুজ সম্পর্কে সচেতনতা বজায় রাখতে আমাদের এ বছরের ভাবনা ‘সবুজেই শান্তি’। ‌এই ইট-কাঠ-কংক্রিটের জঙ্গলে সবুজ বাঁচানোর বার্তা দিতে শুকনো ডালপালা দিয়ে মণ্ডপ ও প্রতিমা গড়েছেন শিল্পী সব্যসাচী পাল। ফেলে দেওয়া ডালপালার ভিতর থেকে ফুটে উঠেছে নানা ভাস্কর্য। সবুজের সেই কাঠামোর মধ্যেই উড়ে বেড়াচ্ছে এক ঝাঁক সাদা পায়রা।

আদর্শপল্লি (বেহালা)

থিমের মাঝেও সাবেকিয়ানাকেই ধরে রাখার চেষ্টা করছি আমরা। পুজোর সব উপচারের মধ্যে মঙ্গলঘটই প্রধান। সেই উপচারকে নজরে রেখেই আমাদের ভাবনা ‘শরণাময়ী’। মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে অসম থেকে আসা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে। থাকবে মঙ্গলঘটের তীরকাঠি, লাল সুতোর কাজও।

আলিপুর সর্বজনীন

৬৭তম বর্ষে শিল্পী সুমন হালদারের ভাবনা ‘আমাদের পুজো আকাশ ছুঁয়ে যাবে’। এই পরিকল্পনাকে রূপায়িত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে আলোর বাহার। এমন ভাবেই থাকবে আলোর কাজ, যাতে তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশ জুড়ে। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে বাঁশের মন্দির, শিবের মূর্তিও।

বেলতলা সর্বজনীন

মধুবনী শিল্পকলা নিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজো। ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যাক্রিলিক রং, ক্যানভাস, মাটির মালসা ইত্যাদি। থাকছে টেরাকোটার রঙিন পুতুলও। শিল্পী বিবেক দাস মধুবনী শিল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গড়ছেন প্রতিমা।

গড়িয়া আমরা ক’জন

অষ্টাদশ বর্ষে আমাদের মণ্ডপ সেজে উঠেছে বাঁশের কারুকাজে। বাঁশ খোদাই করে, কোথাও বা বাঁশ কেটে শিল্পী স্বপন মাইতি তৈরি করেছেন ইনস্টলেশন। প্রতিমা আদতে সাবেক হলেও তাতে থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আশা রাখছি, দর্শনার্থীদের ভালই লাগবে ‘বাঁশ বাহার’।

কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ক্লাব

আমাদের ছোটবেলায় মেলায় মিলত ঢোল-একতারা, কাগজের কুমির, তালপাতার সেপাই। হারিয়ে যাওয়া এই সব জিনিসে সাজছে আমাদের মণ্ডপ। সঙ্গে থাকছে ওড়িশার এক মন্দিরের বিগ্রহের আদলে প্রতিমা। দশ রঙের ব্যবহার হবে প্রতিমায়। ৫১টি সিংহের মূর্তি দিয়ে তৈরি হচ্ছে অভিনব চালচিত্র।

নবারুণ সমিতি

মারণরোগ প্রতিরোধের চেতনাকে প্রসারিত করতে এ বার আমাদের ভাবনা ‘ক্যানসার নিবারণে নবারুণ’। ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য সেবন, বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ক্ষতিকর দূষণ ইত্যাদি দিকগুলি আলোকসজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে।

নন্দীবাগান সর্বজনীন (হালতু)

পুজো মানেই নারীশক্তির আরাধনা। তাই নারীর সাফল্যই এ বছর থিম হিসেবে বেছে নিয়েছি আমরা। বিভিন্ন রকম মডেলের মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে, সব পেশায় নারীর ব্যক্তিত্বময়ী উপস্থিতি তুলে ধরা হবে। পুজোমণ্ডপ জুড়ে থাকবে নানা ক্ষেত্রে কৃতী নারীদের ছবি। তৃতীয়া থেকে একাদশী রোজই থাকবে নাটক, পুতুলনাচ, ঝুমর, বাউল গান।

হরিদেবপুর আদর্শ সমিতি

এ বছর খাস কলকাতায় মুন্ডা সম্প্রদায়ের সমাজের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছি আমরা। গোটা পুজো এলাকা জুড়েই থাকবে মুন্ডাদের সমাজের প্রতিফলন। গাছের পাতা ও খড়ের ছাউনির মাটির বাড়ি, অবিকল গোটা সমাজের প্রতিরূপই এ বারে থিম এই পুজোর।

রায়পুর ক্লাব

আমাদের পুজোর এ বার ৬৬ বছর। অকাল বোধনের পরিবেশ থাকবে মণ্ডপে। এর জন্যে ফাইবার দিয়ে বিভিন্ন মডেল তৈরি হবে। ২৪ ফুট উচ্চতার নীল রঙের পদ্ম আকার মণ্ডপ হবে ফাইবার ও ফ্লেক্সে। শান্তিরূপী দুর্গা প্রতিমার পাশাপাশি থাকবে
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। মণ্ডপের প্রবেশ পথে দর্শকেরা দেখবেন ধ্যানমগ্ন রামের মূর্তি।

খিদিরপুর ভেনাস ক্লাব

এ বার আমাদের মণ্ডপ সাজছে পাটজাত নানা দ্রব্যে। পাটের তৈরি ঘোড়া, নানা দেবীমূর্তি, আসন, ঝালর ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। শিল্পী মহাদেব পালের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা অকালবোধনের আঙ্গিকে তৈরি।

রাজডাঙা ইস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব

আমাদের পুজোর ভাবনা সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া কবিতা ‘রানার’। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাস্টার অব প্যারিস, চট ইত্যাদি। প্রতিমা সাবেক।

নবীন সঙ্ঘ (রাজপুর-সোনারপুর)

অষ্টম বর্ষে আমাদের ভাবনা ‘মোটু-পাতলু’। ছোটদের জন্য এই বিশেষ ভাবনা। মণ্ডপে সবাই পৌঁছে যাবেন এক আজব দুনিয়ায়। প্রতিমা গড়ছেন শিল্পী অরুময় হালদার।

বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি উপনগরী সর্বজনীন

আমাদের ভাবনা লোকশিল্প। বাসস্ট্যান্ডের ধারে সবাই মিলে বাংলার কুটিরশিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পুজোয় বসছে রঙিন মেলা। পুজোর ক’টা দিন সবাই মিলে ভোগ খেয়ে, নানা অনু্ষ্ঠানে কাটাই।

কাঁকুলিয়া গড়িয়াহাট পল্লি সর্বজনীন

৭৫তম বর্ষে আমাদের থিম ‘হে অরণ্য, চির বরেণ্য’। গাছ বাঁচালে তবেই যে মানুষ বাঁচবে এই বার্তাই আমরা দিতে চাইছি। মণ্ডপের প্রবেশপথ তৈরি করা হচ্ছে গাছের গুঁড়ির আদলে। বাঁশ, কাগজ, রঙ দিয়ে তৈরি হবে গুঁড়ি, গাছ, পাতা। মোহনবাঁশি রুদ্রপালের তৈরি সাবেক প্রতিমার পোশাকে থাকছে সবুজের ছোঁয়া। অষ্টমীর ভোগের সঙ্গে এ বার নবমীতেও থাকছে খাওয়ার ব্যবস্থা।

৩ নম্বর চ্যাটার্জি কলোনি দুর্গাপূজা (নিউ আলিপুর)

আমাদের মণ্ডপসজ্জার বিষয় মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের পাঁচ বাহন। থার্মোকল, পাইপ, প্লেট দিয়ে তৈরি সিংহ, প্যাঁচা, রাজহাঁস, ইঁদুর ও ময়ূরের আদলে সাজবে মণ্ডপ। প্রবেশপথের মুখে থাকবে বিশাল সিংহ এবং ময়ূরের মূর্তি। থার্মোকলের হলেও দেখতে ভাস্কর্যের মতো লাগবে। রূপোলি রঙের প্রতিমার আদল সাবেক হলেও থাকছে থিমের ছোঁয়া। অষ্টমীর দিন রয়েছে ভোগ বিতরণের আয়োজন।

শ্যামাপল্লি শ্যামা সঙ্ঘ (যাদবপুর)

ভারতবর্ষে যেমন নানা ধর্মের মানুষের বাস, তেমনই ময়ূরের গায়ে নানা রঙের সহাবস্থান। ভারতের বৈচিত্রের প্রতীক হিসেবে ময়ূরই আমাদের থিম। প্রতিমাও হচ্ছে থিমের সঙ্গে মিলিয়ে। চালচিত্রে থাকবে ময়ূরের পালক। প্রতিমার পোশাক হিসেবে বাছা হয়েছে লেহঙ্গা, শেরওয়ানির মতো বিভিন্ন প্রদেশের পোশাক। সঙ্গে রাজস্থানী গয়না। শিউলি ফুল, ধূপ-ধুনোর গন্ধে মণ্ডপে সৃষ্টি হবে পুজোর পরিবেশ।

চকঠাকুরাণী নবরাগ সঙ্ঘ (ঠাকুরপুকুর)

এ বার আমাদের থিম ‘বৃন্দাবনে বসন্ত উৎসব’। মণ্ডপে মাটির সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হবে রাধা-কৃষ্ণের লীলা। জোর দেওয়া হচ্ছে দোলের বিভিন্ন দৃশ্যের উপরে। এ ছাড়াও মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশি এবং পিচকারি। শান্তির প্রতীক হিসেবে থাকছেন মা দুর্গা। হাতে কোনও অস্ত্র থাকছেনা। পঞ্চমীতে আমাদের পুজোর উদ্বোধন। সে দিন আমরা দৃষ্টিহীনদের পোশাক বিতরণের আয়োজন করেছি।

রূপচাঁদ মুখার্জি লেন (ভবানীপুর)

আমাদের পুজোমণ্ডপ এ বার সেজে উঠছে নানা দেশের নানারকম পাখা দিয়ে। চিনের পাখা, জাপানের পাখা, খাস বাংলার তালপাতার তৈরি পাখা থেকে নবাব বাহাদুর-রাজরাজড়াদের আমলের পাখা, শালু কাপড় মোড়া হাতে টানা পাখা— বাদ যাচ্ছে না কিছুই। তাই পুজোর ভিড়ে কিঞ্চিত শান্তি পেতে আর পাখার হাওয়ায় নিজেদের জুড়িয়ে নিতে হাজির হয়েই যান আমাদের পুজোমণ্ডপে।

puja preparation south kolkata south kolkata puja preparation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy