হুকা বার অভিযান ঘিরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। প্রতীকী চিত্র।
হুকা বার বন্ধ করা নিয়ে কলকাতার মেয়রের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার রাতে শহরে অভিযানে নামল লালবাজার। দু’টি হুকা বারে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, দিনের পর দিন শহরের রেস্তরাঁর আড়ালে হুকা বার চললেও কেন পুলিশ আগে ব্যবস্থা নিল না? হুকা বারের আড়ালে মাদকের রমরমা কারবারের অভিযোগ মেয়রের কানে গেলেও কেন পুলিশের নজরে এল না?
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে পার্ক স্ট্রিট এবং টালা থানা এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযোগ, বিধান সরণির একটি রেস্তরাঁয় হানা দিয়ে দেখা যায়, সেখানে হুকা বার চলছিল। অভিযানে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই রাতেই পার্ক স্ট্রিট এলাকায় মুজফ্ফর আহমেদ স্ট্রিটে অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বেআইনি ভাবে হুকা বার চলছিল। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতায় প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো হুকা বার রয়েছে। এর মধ্যে কিছু রেস্তরাঁর আড়ালে চললেও বাকিগুলি আলাদাই চলত। হুকা বারের লাইসেন্স নতুন করে না দেওয়ার পাশাপাশি পুরনো লাইসেন্স আর নবীকরণ হবে না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এই হুকা বারগুলির আড়ালে বিভিন্ন মাদক ব্যবহারের একাধিক অভিযোগ এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মেয়রের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি সক্রিয়তা দেখে শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন, হুকা বারের আড়ালে মাদকের এই কারবারের কথা পুলিশ কি তবে জানত না? আর যদি সত্যিই সেটা পুলিশের নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকে, তা হলেও সেটি পুলিশি ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, ‘‘মেয়রের ঘোষণার পরে পুলিশ সক্রিয় হল, তার আগে তেমন কিছু নজরে পড়ল না, এটা আর যাই হোক পুলিশের ভূমিকা হতে পারে না।’’
লালবাজার যদিও এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। এক পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময়ে সক্রিয়। হুকা বারের অবৈধ কারবারে ক্ষেত্রেও পুলিশ সক্রিয় থেকেছে। এই অভিযান প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক অভিযান হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy