E-Paper

কসবা: ডিনের ভূমিকায় প্রশ্ন

কসবার কলেজের ভর্তির সব নথিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি খতিয়ে দেখছে। ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মনেজিৎ মিশ্র বা জাইব আহমেদের মতো কারও কারও ভর্তিতে অনিয়মের নমুনা মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৭:৪৬
দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজ।

দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজ। —ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের বিষয় খতিয়ে দেখার পর্বে নানা বাধা সৃষ্টি এবং উপাধ‍্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়কে কিছুটা আড়াল করার জন‍্যই পূর্বতন ডিন অব ল জ‍্যোতিন্দ্রকুমার দাসকে সরানো হয়েছে বলে জানালেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। কসবা-কাণ্ড সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জ‍্যোতিন্দ্রকুমার। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অন্দরে সর্ষের ভিতরে ভূতের তত্ত্বও উঠে আসছে বলে সংশ্লিষ্ট একাংশের মত।

শান্তা শুক্রবার বলেন, “পরিদর্শন কমিটির কাজের সময়ে তখনকার ডিনের ভূমিকায় সমস‍্যা হচ্ছিল। সদস‍্যদের থেকে তাঁর বিষয়ে আলাদা রিপোর্ট নিয়ে ওঁকে কমিটি থেকে সরতে বলা হয়। ডিন হিসেবেও ওঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।”

কসবার কলেজের ভর্তির সব নথিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি খতিয়ে দেখছে। ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মনেজিৎ মিশ্র বা জাইব আহমেদের মতো কারও কারও ভর্তিতে অনিয়মের নমুনা মিলেছে। কলা বিভাগের সচিব পীযূষকান্তি পাণিগ্রাহী পরিদর্শন কমিটির দায়িত্বে। শান্তা বলেন, “প্রচুর নথি খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী উপাধ‍্যক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইনি পরামর্শ নেব। ওই কলেজের পরিচালন সমিতিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধি শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং যশোবন্তী শ্রীমাণির ভূমিকাও যথাযথ নয়। মনোজিতের কলেজে নিয়োগ ওঁরা কেন রুখলেন না?”

নয়নাকে ডেকে ইতিমধ্যে ৩৫টি প্রশ্নের লিখিত জবাব সংগ্রহ করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ জবাবদিহি নেওয়া হয়েছে যশোবন্তীর। শিবরঞ্জনের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানান শান্তা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kasba Law College

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy