E-Paper

আলোর বাজিতেই শব্দদূষণের ‘ফাঁদ’!

শব্দবাজি দেদার বিক্রির অভিযোগ থাকলেও কলকাতার নগরপাল‌ মনোজ বর্মা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে শব্দবাজি বেশি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, বেশি সংখ্যক নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গ্রেফতারির সংখ্যাও বেশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৬
বেপরোয়া: রাস্তার উপরেই বাজি ফাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। আশুতোষ মুখার্জি রোডে কালীপুজোর রাতে।

বেপরোয়া: রাস্তার উপরেই বাজি ফাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। আশুতোষ মুখার্জি রোডে কালীপুজোর রাতে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

আলোর বাজি ফাটালে শব্দ হয় না, তাই আলোর বাজি ফাটানো যাক! এই ভ্রমে অনেকে আসলে শব্দবাজিই ফাটাচ্ছেন‌। চলতি বছরে শব্দবাজি ফাটানোর প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাঁদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা, শব্দবাজির বিরুদ্ধে প্রচারের কারণে মুষ্টিমেয় একটি শ্রেণি শব্দবাজি থেকে মুখ ফিরিয়েছে। আর একটি বড় কারণ, বাজির আকাশছোঁয়া দাম। তাই ওই শ্রেণিটি আতশবাজির দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু সেই আতশবাজির মোড়কেই শব্দবাজি বিকোচ্ছে এবং আতশবাজিতে শব্দ হবে না মনে করে আসলে তাঁরা শব্দদূষণেরই ‘দোসর’ হয়ে পড়ছেন বলে ধারণা অনেকের।

এক পরিবেশবিজ্ঞানী বলছেন, ‘‘আতশবাজি কিনছেন অনেকে। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তাতেও শব্দ হচ্ছে। ফলে, অন্য বাজি নয়, নিরি-র (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট) কিউ আর কোড আছে কিনা, তা দেখে সবুজ বাজি কেনা দরকার। না হলেই শব্দবাজির ফাঁদে পড়তে হবে।’’

শব্দবাজি দেদার বিক্রির অভিযোগ থাকলেও কলকাতার নগরপাল‌ মনোজ বর্মা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে শব্দবাজি বেশি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, বেশি সংখ্যক নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গ্রেফতারির সংখ্যাও বেশি। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই আমাদের বলেছেন, এ বছরে শব্দবাজি কম ফেটেছে। তথ্য অনুযায়ীও তা দেখা যাচ্ছে। তবে যেটুকু অভিযোগ রয়েছে, তা-ও বন্ধ করতে পদক্ষেপ করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kali Puja 2024 Firecrackers noise pollution

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy