E-Paper

বিস্ফোরণ ঘটল কী ভাবে, চার দিনেও মেলেনি উত্তর

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই সেখানে আসে কলকাতা পুলিশের বম্ব স্কোয়াড। নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও। কিন্তু তাতেও ঘটনার কিনারা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৫

—প্রতীকী চিত্র।

বিস্ফোরণের পরে কেটে গিয়েছে চার দিন। কিন্তু কী ভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে ঘুরে গিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল। তারাও অন্ধকারে বলে সূত্রের দাবি। তবে, ওই ঘটনায় জখম ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ তালতলা থানা এলাকার এস এন ব্যানার্জি রোড এবং ব্লোখমান স্ট্রিটের সংযোগস্থলে জঞ্জাল থেকে
প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করছিলেন বাপি দাস। পেশায় কাগজকুড়ানি ওই ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে থাকা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মুখ খুলতেই জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে চার দিক। সেই বিস্ফোরণে বাপির ডান হাতের কব্জির নীচ থেকে উড়ে যায়। বর্তমানে তিনি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় তালতলা থানার পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। নীলরতন সরকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাপির বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর কথায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই সেখানে আসে কলকাতা পুলিশের বম্ব স্কোয়াড। নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুরও। কিন্তু তাতেও ঘটনার কিনারা হয়নি। পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, ওই ব্যাগ থেকে কিছু ভাঙা কৌটোর টুকরো মিলেছে, আর মিলেছে নাট-বল্টু জাতীয় কিছু ধাতব পদার্থ। কিন্তু বিস্ফোরণস্থল থেকে বারুদের চিহ্ন মেলেনি। বারুদের গন্ধও পাওয়া যায়নি। এমনকি, বিস্ফোরণে জখম ব্যক্তির দেহে স্‌প্লিন্টারের আঘাতও পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

লালবাজার জানিয়েছে, ওই এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাপি দুই পায়ে চেপে কিছু একটা খোলার চেষ্টা করতেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং সাদা ধোঁয়ার মতো কিছু তৈরি হয়েই মিলিয়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে আগুনের ঝলকানিও দেখা যায়নি বলে লালবাজার সূত্রের দাবি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ব্যাগের ভিতরে একটি কৌটোয় সম্ভবত কার্বাইড ছিল। যা জলের সংস্পর্শে আসা মাত্র বিস্ফোরণ ঘটে। উল্লেখ্য, ঘটনার সময়ে বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। তবে, কে বা কারা ওই ব্যাগটি ফেলে গেল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bomb Explosion Howrah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy