বর্ষা ঢের দেরি। তার মধ্যেই পূর্ব রেলের হাওড়া ময়দান সংলগ্ন কেলভিন কোর্ট রেল কোয়ার্টার্সে বৃষ্টির জমা জল নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু হয়ে গেল। সেই সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব রেল, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ও হাওড়া পুরসভার মধ্যে চাপান-উতোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’দিনের বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন কেলভিন কোর্ট রেল কোয়ার্টার্সের মধ্যে। দু’দিন পরেও জল না নামায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বাঙালবাবু ব্রিজের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আবাসনের বাসিন্দারা। অভিযোগ, গত বছর পুজোর পর থেকেই সামান্য বৃষ্টি হলে আবাসন চত্বর, এমনকী ঘরের ভিতরেও নর্দমার জল ঢুকে যাচ্ছে। সেই জল বহুদিন ধরে নামছে না। আরও অভিযোগ, মেট্রোর কাজের জন্যই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটছে।
আবাসনের বাসিন্দা প্রীতি শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানালে পাম্প করে জল বর করে দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টিতে ফের জল জমে। স্থায়ী সমাধান না করার জন্যই বারবার এই ঘটনা ঘটছে।’’
বিক্ষোভ চলাকালীন আসেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শৈলেশ রাই। তাঁর দাবি, ‘‘মেট্রো ও পূর্ব রেল নিজের অংশে থাকা নিকাশি নালা পরিষ্কার না করায় এই ঘটনা ঘটছে। পুরসভার কোনও ভূমিকা নেই।’’
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য দায় নিতে রাজি নন। সংস্থার পক্ষে হাওড়ার দায়িত্বে থাকা এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘পূর্ব রেল নিজেদের ভূগর্ভস্থ নালা সংস্কার না করায় গত বছর থেকে এই ঘটনা ঘটছে। মেট্রোর কাজের জন্য ঘটেনি।’’ হাওড়ার ডিআরএম আর বদ্রীনারায়ণ জমা জলের জন্য পাল্টা দায় চাপিয়েছেন মেট্রোর উপরেই। তিনি বলেন, ‘‘মেট্রো রেল মাটির নীচে কাজ করার সময়ে নিকাশি ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে। তাই এমন ঘটেছে। আমরা ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশ দিয়ে নিকাশি নালা তৈরি করে সরাসরি গঙ্গায় ফেলার ব্যবস্থা করছি।’’ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজি বলেন, ‘‘সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পূর্ব রেল, পুরসভা ও আমাদের একসঙ্গে বসতে হবে।’’